সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে লম্বা সময় চান ডমিঙ্গো
সাকিব আল হাসান এমনই। নিজেকে মেলে ধরতে তাকে খুব বেশি অনুশীলন করতে হয় না। অন্যরা যখন মাঠে ঘাম ঝরাতে থাকেন, সাকিব তখন ছুটি নিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরতে থাকেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের প্রায় সবাই বিসিএলে খেলেছেন। তখন সাকিব ছুটি কাটাতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে।
ভারত সিরিজ শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে দেশে আসেন সাকিব। তারপর করলেন অনুশীলন। নামলেন মাঠে। নেমেই বাজিমাত। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের অর্ধেকই একা গুঁড়িয়ে দিলেন। তার এমন দ্যুতি ছড়ানো বোলিংয়ের কারণেই ভারতকে ১৮৬ রানে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এরপরও বাংলাদেশ সেই ম্যাচ জিতেছে মিরাজের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে অনেক কষ্টে ১ উইকেটে।
ভারতের রান দুইশ পার হলেই বাংলাদেশের জয় পাওয়া হয়তো আর সম্ভব হতো না। তাই বলা যায়, সাকিবের বোলিং বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে। এমন একজন খেলোয়াড়কে যতটা সম্ভব খেলানোর পক্ষে কোচ ডমিঙ্গো।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাকিব অবিশ্বাস্য। কোচ হিসেবে জ্যাক ক্যালিসের শেষ সময়টা আমি দেখেছি। ৮ বছর পরও তারা ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না। ৬ ব্যাটসম্যান খেলাবে নাকি ৭ ব্যাটসম্যান খেলাবে। বাড়তি একজন বোলার নিয়ে ৬ বোলার খেলাবে নাকি বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান খেলাবে এ নিয়ে সব সময় দ্বিধায় থাকতে হয়। এই ধরনের ক্রিকেটার তাই বিরল। সে (সাকিব) বোলিং ভালো না করলে রান করে পুষিয়ে দেয়। ব্যাটিং ভালো না করলে বল হাতে পারফর্ম করে। এদের অভাব পূরণ করা কঠিন। এজন্যই তারা অসাধারণ ও স্পেশাল ক্রিকেটার। যতদিন সম্ভব তাকে (সাকিব) ধরে রাখতে হবে আমাদের। তাকে সতেজ রাখতে হবে যাতে করে নিশ্চিত করতে হবে যে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। অন্তত যতদিন তার অভাব অন্য কেউ পূরণ করতে না পারছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো জ্যাক ক্যালিসের অভাব পূরণ করতে না পারলেও ডমিঙ্গো মনে করেন বাংলাদেশ সহসাই সাকিবের অভাব পূরণ করতে পারবে। তার বাজি মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘উপরের দিকে পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করার সামর্থ্য তার আছে। ধারাবাহিক হতে পারে বল হাতেও। যদি সে এভাবে খেলতে পারে, তাহলে সবদিক থেকেই তাই সে সাকিবের উত্তরসূরি হতে পারে।
এমপি/এসজি