ভারতকে ১৮৬ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ
টস জিতে অধিনায়ক লিটন দাসের বোলিং করার সিদ্ধান্তকে অর্থবহ করে তুলেছেন বোলাররা। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে প্রথম এবং ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট নিয়ে তিনি ভারতের ব্যাটিং লাইনকে মাত্র ১৮৬ রানে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেন।
ভারতের ব্যাটিং লাইন বিশ্বসেরা। রান খরায় ভুগতে থাকা বিরাট কোহলিও আবার ফিরেছেন রানে। এমন একটি শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন সমৃদ্ধ দলকে মাত্র ১৮৬ রানে আটকে রাখা সহজ কথা নয়। তারা খেলতে পেরেছে ৪১.২ ওভার। এটি সম্ভব হয়েছে প্রথমত নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের টস জিতে বোলারদের উপর আস্থা রাখা। সেই আস্থার যোগ্য প্রতিদান দিয়েছেন আবার সাকিব আল হাসান। সঙ্গে ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। এই দুই জনে মিলেই ভারতের ব্যাটিং লাইনের ৯ জনকে শিকার করেন।
শিকারগুলোও ছিল বেশ বড়-সড়। সাকিবের ঝুলিতে ছিল রেহিত শর্মা-রিবাট কোহলি-ওয়াশিংটন সুন্দরের উইকেট। এবাদত তুলে নেন ইনিংসের সর্বোচ্চ শিকারি লুকেশ রাহুলের (৭৩) উইকেসহ শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেটও। সাকিব ১০ ওভারে ৩৬ রানে ৫টি এবং এবাদত ৮.২ ওভারে ৪৭ রানে নেন ৪ উইকেট। সাকিবের বোলিং যেমন ভারতের বিপক্ষে সেরা, তেমনি আবার এবাদতের বোালিং ছিল ভারতের পাশাপাশি তার ক্যারিয়রেরও সেরা বোলিং। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে তিনি ৩৮ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
ভারতের ইনিংস যে এমন তালগোল পাকিয়ে যাবে, তা কিন্তু তাদের সূচনায় ছিল না। শুরুটা ছিল যথেষ্ট ভালো। প্রথম ১০ ওভারে শুধুমাত্র শেখর ধাওয়ানের (৭) উইকেট হারিয়ে রান করেছিল ৪৮। উইকেটে তখন অধিনায়ক রোহিত ও ফর্মে ফেরা কোহলি। দুইজনেই বেশ চড়াও হয়ে খেলছিলেন। এই ৪৮ রানের মাঝে ২৬ রানই ছিল বাউন্ডারি ওভার বউন্ডারি থেকে। কিন্তু সব ওলট-পালট করে দেন সাকিব হাতে বল তুলে নেওয়ার পরই। ইনিংসের ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়েই তিনি দ্বিতীয় বলে রোহিতকে (২৭) এবং পঞ্চম বলে কোহলিকে (৯) সাজঘর দেখিয়ে দেন। এক উইকেটে ৪৮ রান থেকে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকটে ৪৯। এই শুরু। ব্যস এরপর আর ভারত খেলায় ফিরতে পারেনি।
শ্রেয়াস আইয়ার ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে লুকেশ রাহুল রান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খুব একটা সফল হতে পারেননি। শ্রেয়াস ও রাহুলের ৪৩ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। তিনি ফিরিয়ে দেন শ্রেয়াসকে ২৪ রানে। এরপর ওয়াশংটনকে নিয়ে রাহুল আবার যাত্রা শুরু করেন। জুটি যখন ক্রমেই বাড়ছিল তখন তাদের থামিয়ে দেওয়ার কাজটি করেন সেই সাকিবই। জুটিতে ৬০ রান আসার পর ওয়াশিংটনকে ১৯ রানে ফিরিয়ে দেন সাকিব।
এরপর লুকেশ রাহুল একা লড়াই চালিয়ে যান। ৪৯ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটি। এসময় তাকে রেখে একে একে ফিরে যান শাহবাজ আহমেদ (০), শার্দুল ঠাকুর (২), দীপক চাহার (০)। কিন্তু তাকে থামানো যাচ্ছিল না। খেলছিলেনও আক্রমণাত্মক। তাকে থামানোর কাজটি করেন এবাদত। ৭০ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৭৩ রান করে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ধরা পড়েন। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় দলের রান ছিল ১৭৮।
এমপি/এসজি