ভারতের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বিশ্ব ক্রিকেটে যে কোনো দেশের জন্য ভারত এক লোভনীয় নাম। নিজেদের মাঠে ভারতের সফর যেমন দর্শকদের আকৃষ্ট করে, তেমনি তহবিল ফুলে-ফেঁপে উঠে। তাই যে কোনো দেশই অপেক্ষায় থাকে ভারত কখন আসবে সফরে। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। সেই ভারত এবার এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছে, যখন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব বুদ হয়ে আছে বিশ্বকাপ ফুটবলে। আলোচনায় মগ্ন মেসি, রোনালদো নেইমারদের নিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা বিশ্বকাপ ফুটবল যখন শুরু হয়, তখন অন্য সব খেলা পানসে হয়ে ওঠে। ভারতের এবারের বাংলাদেশ সফর যেমন মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি, তেমনি দর্শক হৃদয়েও।
বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ভারতীয় দলের বাংলাদেশ সফর এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সময়ও ভারতীয় দল বাংলাদেশ সফরে এসেছিল একইভাবে মিডিয়া এবং দর্শকের মাঝে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ভারতীয় দল যে খেলছে সেটা বুঝাই যায়নি। এবারও অনেকটা সেরকমই। তারপরও টস হবে। খেলা হবে। জয় পরাজয় হবে। হবে সেঞ্চুরি কিংবা পাঁচ উইকেট। রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেবেন কেউ কেউ।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে বাংলাদেশ বোলিং করতে নামবে।
বাংলাদেশ দল তিনজন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে খেলছে। তিন পেসার হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদ। স্পিনার সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ। আগস্টের ১০ তারিখ সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে খেলা একাদশে দুইটি পরিবর্তন আছে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে দলে নেই তাইজুল ইসলাম। দলে ফিরে এসেছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ছিলেন ছুটিতে। লিটন দাসের ছিল ইনজুরি।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে সাত বছর পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ফিরল ভারত। এরআগে ২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে বিজয়ী হয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), এনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শাহবাজ আহমেদ, শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদীপ সেন।
এমপি/আরএ/