রোহিতের কথায় জোর নেই বাংলাদেশকে হারানোর
একটা সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামলেই ভারত জয়ী হতো। কোনো রকমের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারত না বাংলাদেশ। এমনি করে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ১২ ম্যাচেই ভারত জয়ী হয়।
এই ১২ ম্যাচে উইকেটে ব্যবধানে সবচেয়ে কম হার ছিল ৪ উইকটে। সর্বোচ্চ ৯ উইকেটে। ৯ উইকেটে হার ছিল আবার চারটিতে। রানের ব্যবধানে সবচেয়ে কম হার ছিল ১১ রানে। বড় ব্যবধানে হার ছিল ২০০ রানে। ১৩ নম্বার ম্যাচে গিয়ে বাংলাদেশ প্রথম জয় পেয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৫ রানে। পরের ২ ম্যাচের আবার একটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল। ২০০৭ সালে উইন্ডিজ বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে। এরপর আবার টানা ৮ ম্যাচে হার।
নবম ম্যাচে গিয়ে বাংলাদেশ জয় পায়। পরের ৫ ম্যাচে আবার জয়হীন। এমনি করে সময় আসে ২০১৫ সাল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল ১০৯ রানে। কিন্তু বিশ্বকাপ পররপরই ভারত বাংলাদেশে খেলতে আসে। ঘুরে দাঁড়ানো শুরু বাংলাদেশের।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ভারতকে সিরিজ হারের নোনা স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। শুধু ভারতকেই নয়। বাংলাদেশ একে একে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ‘বধ’ করে ওয়ানডে সিরিজ। শুরু হয় বাংলাদেশের উত্তান। পরবর্তিতে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলে সেমি ফাইনাল।
বাংলাদেশের এ রকম উত্তান ওয়ানডে ক্রিকেটে একটি সমীহ জাগানো দলে পরিণত হয়। আগে যারা খেলতে নামার আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের কথা ভাবতেন, তারা সেখান থেকে সরে আসেন। এবার একই পথে হেঁটেছেন ভারতের কাপ্তান রোহিম শর্মাও। যদিও ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশ আছে আবার হারের বৃত্তে। হেরেছে টানা পাঁচ ম্যাচে। কিন্তু তারপরও রোহিত শর্মা আগামীকাল থেকে শুরু হতে পাওয়া তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ের কথা বলেননি। তিনি ম্যাচ ধরে এগুতে চান।
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর থেকে দুই দলের ম্যাচ হচ্ছে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ গত ৭/৮ বছর থেকে খুবই ভালো ক্রিকেট খেলছে। খুবই শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে সহজে জয় পাওয়া কঠিন। বাংলাদেশকে হারাতে হলে খুবই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলের বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ আমরা এখন যতবার মুখোমুখি হই, খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই হয়। এমন কি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের কাছে আমরা ওয়ানডে সিরিজ হেরেছি। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা সহজ হবে না। তাদের হারাতে হলে সেরাাট খেলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সিরিজ জেতার দিকে নজর দিচ্ছি না। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই। প্রথম ম্যাচ শেষে আমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ নেয় ভাবব। বেশি দূরের কথা ভাবলে, মাঝে মাঝে কোন লাভ হয় না।’
এমএমএ/