অধিনায়কত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত লিটন
কখন কার কপাল কিভাবে খুলে যায় কেউ জানে না। ভারতের মতো শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দলের বিপক্ষে লিটন দাস অধিনায়কত্ব করবেন তা দুই দিন আগেও কেউ জানতেন না। এমন কি স্বয়ং লিটন দাসও। কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের ইনজুরিতে লিটন দাসের সামনে সেই সুযোগ চলে আসে।
ভারতের বিপক্ষ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। আগামীকাল রবিবার (৪ নভেম্বর) ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি টস করতে নামবেন বাংলাদেশের ১৫তম অধিনায়ক হিসেবে।
ওয়ানডেতে তিনি নতুন হলেও এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটি ম্যাচে দলবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে একটি ম্যাচে তিনি নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে টস করতে নেমেছিলেন সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে। টস জিতলেও ম্যাচ হেরেছিলেন ৬৫ রানে। ওয়ানডে ডাউনে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন টিম সাউদির বলে।
টি-টোয়েন্টিতে ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ। আগের দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছিল। তাই শেষ ম্যাচে তার টস করা ছিল শুধুই অনেকটা নিয়ম রক্ষার মতো। এবার তিনি গোটা ওয়ানডে সিরিজই টস করতে নামবেন। সময় কম পেলেও এর মাঝে তিনি সার্বিক একটা চিন্তা-ভাবনা করতে পারবেন। এভাবে হুট করে নেতৃত্ব পাওয়াতে বেশ রোমাঞ্চিত লিটন দাস।
তিনি বলেন, ‘এত বড় সিরিজে আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ। আমি রোমাঞ্চিত। চেষ্টা করব আমার সামর্থ্য দেখানোর। সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে খেলার সময়ও দায়িত্ব থাকে। অধিনায়ক হিসেবে দলকে গাইড করার বাড়তি দায়িত্ব থাকে। এর চেয়ে বেশি কিছু না। গত ২-৩ দিন ধরে তো অনুশীলন করছি। সাধারণত যেসব কথাবার্তা হয় এসবই হয়েছে। বাড়তি কোনো কথাবার্তা হয়নি। প্রথম যে দুই অধিনায়কত্বের কথা বললেন ঐসময় কিছুই জানতাম না, হুট করে অধিনায়ক হয়ে গেছি। ওটাতে কিছু করারও ছিল না। এবার আমিও খবর পেয়েছি গতকাল। দলের সঙ্গে ১০ দিন কাজ করার সুযোগ আছে। দলের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এমন দায়িত্ব পেলাম। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন থাকে। তার থেকেও বড় স্বপ্ন দলকে নেতৃত্ব দেওয়া। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দিন সবচেয়ে বড়।’
এমপি/এমএমএ/