দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহরে পথে ভারত ‘এ’ দল
যে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক হোচট খেয়েছেন, সেই উইকেটে ভারতের ব্যাটসম্যানেরা রানের ফুল ফুটিয়েছেন। সেই ফুল ফুটিয়ে দুই ওপেনার করেছেন সেঞ্চুরি। আর ভারতের ইনিংস হয়েছে ফুলে-ফেপে হৃষ্টপুষ্ট। এই চিত্র কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভারতের ‘এ’ দলের খেলার প্রথম দুই দিনের চিত্র। স্বাগতিকরা প্রথম দিনই মাত্র ১১২ রান অলআউট হওয়ার পর ভারত সে দিনই সেই রান টপকে গিয়েছিল ১২০ রান করে। দ্বিতীয় দিন সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪০৪ রান। তারা এগিয়ে আছে ২৯২ রানে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ওপেনার জাইসওয়াল ১৪৩ ও অভিমান্যু ১৪২ রান করে আউট হন।
দুই দলের ব্যাটিংয়ের যে চিত্রনাট্য তা নিজেদের অবস্থানেরই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ ‘এ’ দলে খেলছেন টেস্ট দলের সাতজন ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের মান খুবই বাজে। তারই চিত্রনাট্য আরেক দফা ‘এ’ দলের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে। ভারতের জাতীয় দল যেমন শক্তিশালী, তেমনি তাদের ‘এ’ দলও। যা তারা দেখিয়েছে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়ে।
প্রথম দিন শেষে জাইসওয়াল ৬১ ও অভিমান্যু ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই দুইজন থামেন সেঞ্চুরি করে। যেখানে উদ্বোধনী জুটিতে রানে আসে ২৮৩। জাইসওয়াল ১৫৯ বলে ও অভিমান্যু ১৮৪ বল সেঞ্চুরি তুলে নেন। জুটি ভাঙে জাইসওয়াল আউট হলে। তিনি তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন। তার ২২৬ বলের ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা ও ২০টি চার। অভিমান্যুও এলবিডব্লিউর শিকার হন সৈয়দ খালেদের বলে। তিনি ২৫৫ বল খেলে একটি ছক্কার সঙ্গে ১১টি বাউন্ডারি মারেন। এই দুইজন আউট হওয়ার বাকি যারা ক্রিজে এসেছেন তাদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ইয়াস ধাউল ২০, সরফরাজ খান ২১, জয়ন্ত যাদব ১০ রান করে আউট হন। উপেন্দ্র যাদব ২৭ ও তিলক ভার্মা ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। স্বাগতিক দলের হয়ে তাইজুল ১৪৮ রানে ৩টি ও খালেদ আহমেদ ৭১ রানে নেন ২টি উইকেট।
এসএন