বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতা

বাংলাদেশ ‘এ’ দল হলেও জাতীয় দলে খেলা সাতজন খেলোয়াড় আছেন দলে। এমন দল নিয়ে ভারতের ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাটিংয়ে।
মাত্র ১১২ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম দিনই। দিনের বাকি সময় ব্যাট করতে নেমে সফরকারিরা স্বাগতিক দলের রান টপকে গেছে। বিনা উইকেটে ১২০ রান করে প্রথম দিন শেষ করেছে।
কক্সবাজার শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল ভারতের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে মহা বিপদ সংকেত। ব্যাট হাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন টেস্ট দলের মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়।
এদের ব্যর্থতা সংক্রমিত হয়ে নিচের দিকেও সংক্রমতি হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মাত্র ২৬ রানে পড়ে পাঁচ উইকেট। এ সময় দলের শতরান হওয়া নিয়েও শঙ্কা ছিল। কিন্তু ব্যতীক্রম ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যান তিনি। সঙ্গী হিসেবে তিনি কাউকে পাননি। একাই ত্রাতা হয়ে উঠেন। তার ৬৩ রানের ইনিংস দলের মান না বাঁচালেও শতরান অতিক্রম করতে বড় ভুমিকা রাখে।
তার ৮ বলের ইনিংসে ছক্কা ছিল তিনটি ও বাউন্ডারি ছিল ছয়টি। তিনি ছাড়া দুই অঙ্কের রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ ও তাইজুল ইসলাম ১২। এই জনের রান ছিল ৯৪। বাকি সাত জন মিরে করেন ১৮ রান। শেষ চার উইকেট পড়ে আবার মাত্র ৮ রানে। চার জন ব্যাটসম্যান আউট হন কোনো রান না করে। তারা হলেন ওপেনার জাকির হাসান, অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন, রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
এ ছাড়া, মাহমুদুল হাসান জয় ১, মুমিুনল হক ৪, জাকের আলী ৪, নাঈম হাসান অপরাজিত ৬ রান করেন। ভারতের ‘এ’ দলের সৌরভ কুমার ২৩ রানে নেন ৪ উইকেট। নাভদিপ সাইনি ২১ রানে ৩ উইকেট। মহেশ কুমার ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ২৫ রান। স্বাগতিকরা মাত্র ৪৫ ওভার খেলেছিল।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল আউট হওয়ার পর সফরকারীরা ব্যাট করতে নেমে চা বিরতির পর। যে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হাবুডুবু খেয়েছেন, সেই উইকেটে রানের ফুল ফুটিয়েছেন ভারতের ‘এ’ দলের দুই ওপেনার জাইসওয়াল ও অভিমানু। জাইসওয়াল ৬১ ও অভিমানু ৫৩ রানে অপরাজিত।
এমপি/এমএমএ/
