পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ফ্রান্স

নকআউট নিশ্চিত হয়ে গেছে ফ্রান্সের। অঘটন না ঘটলে গ্রুপ সেরাও হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তাই নির্ভার চিত্তে আগামীকাল গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার মুখোমুখি হবে। যেহেতু তাদের জন্য এটা কেবল নিয়ম রক্ষার ম্যাচ, তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ফ্রান্স।
কাল আল রায়ানে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে তিউনিশিয়া-ফ্রান্স। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। ম্যাচটি ফ্রান্সের জন্য নিছক আনুষ্ঠানিকতা হলেও তিউনিশিয়ার জন্য শেষ সুযোগ। তবে সবকিছু এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
‘ডি’ গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। সমান ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং ১ পয়েন্টে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ডেনমার্ক এবং তিউনিশিয়া। দুই দলের গোল ব্যবধান সমান -১। অর্থাৎ কাল জিততে হবে তিউনিশিয়ার এবং একইসঙ্গে তাদের চেয়ে কম ব্যবধানে ডেনমার্কের জয়ের জন্য প্রার্থণা করতে হবে!
আফ্রিকান দলটি ভাগ্য বিধাতার দিকে তাকিয়ে, তখন দিদিয়ের দেশমের চোখ বেঞ্চে। সুযোগ পেয়ে বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নিতে চান ফ্রান্স কোচ, ‘যে দলটি (তিউনিশিয়া) খেলবে তারা সেরা ফল পাওয়ার জন্য সবকিছু করবে। তবুও আমরা দলে পরিবর্তন আনব।’
দেশম যোগ করেন: ‘(দলে) পরিবর্তন হবে কিন্তু কতজন তা আমি বলবে পারব না। প্রতিপক্ষকে বলতেও চাই না। তবে এটা নিশ্চিত যে তিউনিশিয়ার জন্য ম্যাচটি খুব বেশি আরামদায়ক করতে চাই না।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* ২০১০ সালে মে মাসে প্রথম সাক্ষাতে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তিউনিশিয়া এবং ফ্রান্স। এরপর চারবারের দেখায় কখনো তিউনিশিয়ার কাছে হারেনি ফ্রান্স (২ জয়, ২ ড্র)।
* ২০২২ বিশ^কাপে এখন পর্যন্ত জয়হীন তিউনিশিয়া। যদি ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে আরও একবার জয়শূন্য থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করবে তারা। ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৬ সংস্করণেও জয়শূন্য ছিল তিউনিশিয়া। আফ্রিকান দলটি কখনোই বিশ^কাপের প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি।
* ফ্রান্স তাদের সবশেষ বিশ^কাপ ম্যাচের প্রতিটি জিতেছে। টুর্নামেন্টে এটাই তাদের সর্বোচ্চ টানা জয়ের রেকর্ড। বিশ^কাপে তাদের চেয়ে বেশি জয়রথে ছিল ইতালি (১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত টানা ৭ জয়) এবং ব্রাজিল (২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা ১১ জয়)।
* কাতারে তিউনিশিয়া তাদের দুই ম্যাচে ২৭ শট নিয়েও গোল করতে পারেনি। টুর্নামেন্টে কোনো আফ্রিকান দল এত শট নিয়ে কখনো গোলহীন থাকেনি।
এমএমএ/
