বিসিএল ওয়ানডে নতুন চ্যাম্পিয়ন উত্তরাঞ্চল
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) ওয়ানডে আসরে নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উত্তরাঞ্চল। রবিবার (২৭ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিবারাত্রি উত্তেজনাকর ফাইনালে তারা দক্ষিণাঞ্চলকে হারিয়েছে মাত্র তিন রানে।
আগে ব্যাট করে উত্তরাঞ্চল আট উইকেটে করে ২৪৪ রান। জবাব দিতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল নয় উইকেটে করে ২৪১ রান। গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মধ্যাঞ্চল। এবার তারা লিগ পর্বে কোন ম্যাচই জিততে পারেনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উত্তরাঞ্চল শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান শাহাদাত অপু খুব দ্রুতই ফিরে যান। লিটন এক ও শাহাদাত চার রান করে শরিফুলের শিকার হন। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন ফজলে রাব্বি। সৈকত আলীকে নিয়ে এগোতে থাকেন সৈকত ২২ রান করে রান আউট হয়ে গেলেও ফজলে রাব্বি ১১৪ বলে এক ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৬৫ রান করে মেহেদির বলে এনামুলের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন।
ফজলে রাব্বির এই ইনিংসের সঙ্গে আকবর আলী ৪২, মাহমুদুল্লাহ ৩৯ ,শামীম পাটোয়ারী ২০ বলে ৩৭ রান করলে উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ আট উইকেটে ২৪৪ দাঁড়ায়। শরিফুল ৪৫ রানে নেন তিন উইকেট । মেহেদী হাসান মিরাজ দুই উইকেট নিতে খরচ করেন ৩১ রান।
লীগ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে আসা দক্ষিণাঞ্চল আসরে তাদের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম শেখকে হারায় ১১ রানে। নাঈম রানা আউটের শিকার হন। এই ব্যর্থতা দেখে যায় এনামুল হক ও জাকিরের ব্যাটে। দুজনেই ভিত মজবুত করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনেই মারমুখী খেলছিলেন কিন্তু এই জুটি ভেঙ যাওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চল আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে।
এনামুল ৪৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে ৫৯ ও জাকির ৩৯ বলে দুই ছক্কা ও চার বাউন্ডারকে ৪২ রান করে আউট হন।জুটিতে রান আসে ১০০। দক্ষিণাঞ্চলের রান ছিল এক পর্যায়ে এক উইকেটে ১১৭ । সেখান থেকে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১২৭। মাত্র ১০ রানে হারায় পাঁচ উইকেট। দক্ষিঞ্চালের হার এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু হার মানতে রাজি ছিলেন না অভিজ্ঞ নাসির ও তরুণ নাসুম।
দুজনে সপ্তম উইকেট জুটিতে রান বাড়াতে থাকেন। তাদের এই রান উত্তরাঞ্চলের শিরোপা জয়ের উল্লাসকে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল। তাদের শঙ্কামুক্ত করেন রকিবুল। তিনি নাসুমকে ৩৮ রানে আউট করেন। জুটিতে রান আসে ৮৫। কিন্তু নাসির থেকে যাওয়াতে দক্ষিণাঞ্চলের শঙ্কা আবার নতুন করে জেগে উঠে। ৭৬ বলে চার বাউন্ডারিতে নাসির হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৬ রানের। রিপন মন্ডলের করা ৩৯ নম্বর ওভার থেকে ৬ রান আসলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১০ রানের। শফিকুল ইসলামের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ৬১ রান করে নাসির রান আউট হয়ে গেলে মাঠে চলে আসে শেষ উইকেট জুটি। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শরিফুলের পক্ষে আর প্রয়োজনীয় ১০ রান করা সম্ভব হয়নি পাঁচ বলে। তারা মাত্র ৬ রান সংগ্রহ করলে হার মানে তিন রানে। রকিবুল ২৯ রানে নেন চার উইকেট।
এমপি/এমএমএ/