রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রথম ম্যাচ হারের পর এবার কতদূর যাবে আর্জেন্টিনা?

আর্জেন্টিনার পর জামার্নি প্রথম ম্যাচে হারের পর কাতার বিশ্বকাপে নতুন করে একটি বার্তা ভাসতে থাকে এরপর অঘটনের শিকার হবে কে?

জামার্নির হারের আগেই ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন নিজেদের প্রথম ম্যাচ বেশ ভালোভাবে পার হয়ে যাওয়াতে ইঙ্গিতটা ছিল ব্রাজিলের দিকেই। কিন্তু এমন বার্তা বাতাসেই ভেসে থাকতে দিয়েছে ব্রাজিল। মাটিতে নামতে দেয়নি। নান্দনিক ফুটবল শৈলী উপহার দিয়ে তারা সার্বিয়াকে বাধা হতে দেয়নি।

ব্রাজিল পর্ব শেষ হওয়ার পর এবার নতুন করে বার্তা ভাসছে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে। সেই বার্তা আজই কি আর্জেন্টিনার বাজবে কাতার বিশ্বকাপের বিদায় ঘণ্টা, নাকি মেক্সিকোকে হারিয়ে টিকে থাকবে মেসির শেষ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার মিশনে।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারের ঘটনা আর্জেন্টিনার জন্য নতুন কিছু নয়। এবারের আগে আরও পাঁচবার তারা এভাবে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল। এই সব হারের পরবর্তী অভিজ্ঞতা আবার আর্জেন্টিনার জন্য সুখকর ছিল না। ১৯৯০ সাল ছাড়া বাকি চারবারই তারা সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। ১৯৯০ সালে তারা ফাইনালে গিয়ে হেরেছিল জামার্নির কাছে।

এবার কি আর্জেন্টিনা ১৯৯০ সাল ফিরিয়ে আনবে নাকি ১৯৩৪, ১৯৫৮, ১৯৭৪, ১৯৮২ সাল ফিরিয়ে আনবে? ১৯৩৪ ও ১৯৫৮ সালে তারা প্রথম পর্বই পার হতে পারেনি। ১৯৩৪ সালের খেলা ছিল নক আউট পদ্ধতিতে। সেখানে সুইডেনের কাছে তারা ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল। ১৯৫৮ সালে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পূর্ব জামার্নির কাছে ৩-১ গোলে। এরপর উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ী হলেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চেকোশ্লাভাকিয়ার কাছে ৬-১ গোলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল।

১৯৭৪ সালে প্রথম ম্যাচে পোলােন্ডের কাছে ৩-২ গোলে হারলেও ইতালির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র ও হাইতির বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতে দ্বিতীয় পর্বে জেতে পেরেছিল। দ্বিতীয় পর্বে নেদারল্যান্ডস (৪-১) ও ব্রাজিলের (২-১) হেরে পশ্চিম জামার্নির সঙ্গে (১-১) ড্র করে গ্রুপে সবার নিচে থেকে বিদায় নিয়েছিল। ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ হেরেছি। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হিতেবে খেলেতে নেমে।
বেলজিয়ামের কাছে ১-০ গোলে হারের পরও হাঙ্গেরিকে ৪-১ ও এলসালাবদরকে ১-০ গোলে হারিয়ে উঠেছিল দ্বিতীয় পর্বে। দ্বিতীয় পর্বে তাদের যাত্রা সুখকর ছিল না। ইতালির কাছে ২-১ ও ব্রাজিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে ফিরেছিল রিক্ত হস্তে।

১৯৯০ সালে প্রথম হেরেছিল রানার্সআপ হিসেবে। প্রতিপক্ষ ছিল রজার মিলারের ক্যামেরুন। ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় পর্বে গিয়েছিল গ্রুপের সেরা তৃতীয় দল হিসেবে। গ্রুপেরর পর দুই ম্যাচে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২-০ গোলে হারালেও রুমানিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিল ১-১ গোলে। এই দুই দলের পয়েন্টই সমান ৩ করে ছিল। গোল গড়ে আর্জেন্টিনার অবস্থান হয়েছিল তৃতীয়।

আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় পর্বে গিয়েছিল ছয় গ্রুপের সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে। এরপর আর তাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শেষ ষোলতে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানরো পর কোয়ার্টার ফাইনালে যুগশ্লাভাকিয়াকে টাইব্রেকারে ( নির্ধারিত সময় খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল) ৩-২ গোলে পরাজিত করে পৌছে যায় সেমি ফাইনালে। এখানেও তারা জয়ী হয়েছিল টাইব্রেকারে। ইতালির সঙ্গে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে জয়ী হয়েছিল ৪-৩ গোলে। এরপর আসে কঙ্খিত ফাইনাল। ফাইনালে তারা জামার্নির কাছে হেরে গিয়েছিল ১-০ গোলে।

আর্জেন্টিনার আগের পাঁচ হারের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের অবস্থানের উন্নতি করেছে। ড্রথম দুইবার প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পর পরের দুইবার দ্বিতীয় পর্ব থেকে বিতায় নিতে পেরেছিল। শেষবারতো ফাইনালই খেলেছি। এবার কী?

আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তার একটা চিত্র পাওয়া যাবে।

এমপি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ভটভটির ধাক্কায় জায়েদা বিবি (৬৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জায়েদা বিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মনসুর রহমানের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে আল মামুন বলেন, তাঁর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রহিদুল ইসলাম রোববার সকালে উপজেলা সদরের প্রসাদপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভাইয়ের দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে তাঁর মা জায়েদা বিবি ভটভটিতে চড়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি ভটভটি ধাক্কায় তিনি পাকা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান জানান, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত জায়েদা বিবির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি