অতীতে চোখ রেখে সর্তক ফ্রান্স-ডেনমার্ক
বিশ্বকাপে তিন মুখোমুখি সাক্ষাতে জয়ের রেকর্ড আছে ফ্রান্স ও ডেনমার্কের। ২টি জয়ফরাসিদের ঝুলিতে, ড্যানিশদের ১টি। উয়েফা নেশন্স লিগে সবশেষ দুই দেখায় আবার জয়ের হাসি হেসেছে ডেনমার্ক। তাইআগামীকাল যখন বিশ্বকাপের মঞ্চে চতুর্থ বার মুখোমুখি হবে দুই দল, তখন অতীতে চোখ রেখে সতর্ক থাকছে দুই দল।
দোহায় ৯৭৪ স্টেডিয়ামে লড়বে ফ্রান্স-ডেনমার্ক। লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অপরদিকে, তিউনিশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিপাকে ড্যানিশরা।
কাল ডেনমার্কের জন্য বিশ্বকাপে টিকিয়ে থাকার লড়াই। আর ফ্রান্স নামবে নক আউটে উঠার পথটা আরও মসৃণ করতে। তার আগে, শুক্রবার দিদিয়ের দেশম এবং হুলো লরিসের সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট ছিল যে প্রতিপক্ষকে নিয়ে মোটেও নির্ভার নন ফ্রান্স। বরং কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন তারা।দেশমের ভাষ্য ছিল ঠিক এমন, ‘আমি একাধিক বার বলেছি, ডেনমার্কের যে গুণ মান সে তুলনায় তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়। তারা আমাদের দুবার হারিয়েছে এবং আমাদের জীবন কঠিন করে তুলেছিল, তাই আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আগামীকাল এটি যেন না হয়।’
ফ্রান্স অধিনায়ক লরিস বলেন, ‘এটি একটি ভিন্ন টুর্নামেন্ট। তবে ড্যানিশ দল দুর্দান্ত এবং সেরা দলকে হারাতে সক্ষম। আমরা বলতে পারি না যে আমরা তাদের চিনি না। টুর্নামেন্টে এই পর্যায়ে কোনো অতিরিক্তি অনুপ্রেরণার প্রয়োজন নেই... আমরা জানি এটা (ডেনমার্ক ম্যাচ) নকআউটের যোগ্যতা অর্জনের জন্য একটি নির্ধারণী ম্যাচ।’
প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন ডেনমার্ক কোচ ক্যাসপার হুলমান্ড, ‘আগামীকালের ম্যাচটি অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি প্রতিপক্ষ যারা ফুটবলে অনেক উঁচু স্তরে রয়েছে। ফ্রান্সে এই মুহূর্তে যে গুণ-মান এবং প্রতিভা রয়েছে তা দর্শনীয়।
ফ্রান্সের প্রতি আমার অনেক সম্মান আছে, কিন্তু আমি এটাও জানি আমরা কতটা শক্তিশালী।’হুলমান্ড যোগ করেন ‘আমরা কয়েকবার তার পরীক্ষা নিয়েছি।তবে এ একটি নতুন টুর্নামেন্ট, একটি বড় টুর্নামেন্ট। কিন্তু আমরা জানি যে যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলি, তাহলে ভালো ফল পাওয়ার সুযোগ আছে এবং সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এটা নিশ্চিত করতে ম্যাচের শুরু থেকেই আমাদের ভালো মানের ফুটবল খেলতে হবে।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* বিশ্বকাপে চতুর্থবার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স এবং ডেনমার্ক। প্রতিটি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। ১৯৯৮ ও ২০১৮ সংস্করণে জিতেছে ফরাসিরা এবং ২০০২ সালে জিতেছে ড্যানিশরা।
* ফ্রান্সের সঙ্গে সবশেষ দুই দেখায় জয়ের দেখা পেয়েছে ডেনমার্ক। ম্যাচ দুটো উয়েফা নেশন্স লিগের। ফরাসিদের বিপক্ষে কখনোই টানা তিন জয় পায়নি ড্যানিশরা।
* এ নিয়ে তৃতীয় বার বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক। ১৯৯৮ কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেছে ৩-২ গোলে। ২০০২ সালে গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সকে হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
* ফ্রান্স তাদের সবশেষ পাঁচ বিশ্বকাপ ম্যাচের প্রতিটি জিতেছে। টুর্নামেন্টে কখনোই টানা জয় পায়নি তারা।* বিশ্বকাপে ডেনমার্ক তাদের শেষ চারম্যাচ ড্র করেছে। শুধুমাত্র বেলজিয়ামই ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচটি ড্র করেছে।
* ২০০৬ সালের পর প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ে শুরু করেছে ফ্রান্স। এর আগে মাত্র চার বার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা তাদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছে: ১৯৩৮ সালে ইতালি, ১৯৫৪ সালে উরুগুয়ে এবং ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালে ব্রাজিল।
* ডেনমার্ক তাদের শেষ পাঁচ বিশ্বকাপ ম্যাচের তিনটিতে ক্লিনশিট রেখেছে।
* বিশ্বকাপে সবশেষ দুই ম্যাচে চারটি করে গোল করেছে ফ্রান্স: ২০১৮ সালে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এবং কাতারে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে ৪ বা তারও বেশি গোল করা সবশেষ দল হাঙ্গেরি (১৯৫৪ সালে)।
এমএমেএ/