জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠল কাতার বিশ্বকাপের
মরুর বুকে ফুল ফুটেছে। এই ফুল ফুটবলের, ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। জমকালো আর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর।
২০১০ সালে স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর শুরু হয় ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ আয়োজনে কাতার সরকারের চেষ্টা। এক যুগের অপেক্ষা আর পরিশ্রমের ফসল মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপের আসর। মনমাতানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পেছনে পড়ে গেছে সব আলোচনা আর বিতর্ক। এখন শুধুই সামনে এগিয়ে চলার পালা। সফল সমাপ্তির অপেক্ষা। রাজধানী দোহার ৬০ হাজার ধারণ ক্ষমতার আল বায়াত স্টেডিয়াম ছিল দর্শকে পরিপূর্ণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেকোনো আসরের অলংকার। অলিম্পিক গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস কিংবা সাফ গেমসের মতো আসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গুরুত্বই থাকে আলাদা। কিন্তু এর বাইরে একক কোনো বৈষয়িক আসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেরকম গুরুত্ব থাকে না। হলে ভালো, না হলে মন্দ নয়। তারপরও ফুটবল-ক্রিকেটের মতো বিশ্ব আসরে এখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান থাকে, নাচ থাকে। এসব ইভেন্টে জগৎ সেরা শিল্পীরা অংশ নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি থাকে স্বাগতিক দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় কীভাবে মরুর বুকে ফুটবলের জাগরণ ঘটেছে। দেখানো হয় ঘোড়া হাতে মধ্যপ্রাচ্যে পোশাক গায়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাঠ ছিল ফুটবল আকৃতির। বিশ্ববিখ্যাত ব্যান্ড বিটিএসের গায়ক জি অন জাং কুক বিশ্বকাপ উপলক্ষে ‘ড্রিমার্স’ গানটি পরিবেশন করেন। তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান কাতারের গায়ক ফাহাদ আল-কোবাইসি। হলিউড কিংবদন্তি মরগান ফ্রিম্যান মঞ্চ মাতিয়ে যান। অংশগ্রহণকারী সব দেশের পতাকা নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করা হয়। বিশ্বকাপের মাসকট ‘লায়িব’ এসে মাঠ প্রদক্ষিণ করে। এটি একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ সুপার স্কিলড প্লেয়ার। ফুটবলের আনন্দ সবার মাঝে নিয়ে যাবে। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর সঙ্গে বসা দুই কাতারি একটি জার্সিতে স্বাক্ষর করেন। ছিল চোখজুড়ানো আতশবাজি। বক্তব্য রাখেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি।
এমপি/এসজি