ইংল্যান্ড-ইরানের ‘প্রথম’ লড়াই
কাতার পৌঁছেই হুংকার দিয়েছেন গ্যারেথ সাউথগেট। উচ্চকণ্ঠ ছিলেন হ্যারি কেনও। ইংল্যান্ডের কোচ ও অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এসেছেন ট্রফি জিততে। বিশ্বজয়ের স্বপ্নে বিভোর থ্রি লায়ন্সদের সামনে ‘অচেনা’ ইরান। ফুটবলে এটাই ‘প্রথম’ মুখোমুখি লড়াই তাদের।
আগামীকাল (২১ নভেম্বর) বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে দুই দল। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি গড়াবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়। ঐতিহ্য এবং শক্তি-সামর্থ্যে ফেবারিটের আসনে ইংল্যান্ড। তবে জয়ের দেখা পেতে ইরান-গেট টপকাতে হবে হ্যারি কেন ও তার সতীর্থদের।
উয়েফা নেশন্স লিগে বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে থ্রি লায়ন্সরা। ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তারা এবং ছিটকে গেছে এই লিগ থেকে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দারুণ ছন্দে ছিলেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। গ্রুপ-টপার হয়ে নাম লেখায় মূল টুর্নামেন্টে।
সবশেষ পাঁচ বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে দাপুটে জয় নেই ইংল্যান্ডের। ২০০২ সালে সুইডেনের সঙ্গে ড্র (১-১) করে আসর শুরু করেছিল ১৯৬৬ চ্যাম্পিয়নরা। পরের সংস্করণে কোনো রকমে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে (১-০) শুভসূচনা পেয়েছিল তারা। ২০১০ সালে ড্র করেছিল যুক্তরাষ্টের বিপক্ষে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। গতবার রাশিয়ায় তিউনিশিয়াকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। এবার কাতারে আরেকটি বিশ্বকাপের শুরুতে থ্রি লায়ন্সরা পেল ইরানকে, যারা গোল করার চেয়ে নিজেদের গোলমুখ আগলে খেলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* ফুটবলে এবারই প্রথমবার দেখা হবে ইংল্যান্ড-ইরানের। ফিফা বিশ্বকাপে কখনোই ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি ইরান (২ ড্র, ৬ পরাজয়)।
* কাতারে ১৬তম বিশ্বকাপ খেলবে ইংল্যান্ড। এটা তাদের টানা সপ্তম অংশগ্রহণ, যা টুর্নামেন্টে দলটির সেরা যাত্রা।
* ২০২২ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বের গ্রুপপর্বে গোল পার্থক্যে সেরা অবস্থানে ছিল ইংল্যান্ড। ৩৯ গোলের বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ৩টি (+৩৬)।
* ইংল্যান্ড একমাত্র ইউরোপিয়ান দল যারা সবশেষ দুই মেজর টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ ও ইউরো) প্রতিটিতে সেমিফাইনাল খেলেছে।
* বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড তাদের সবশেষ ১৮ গোলের ১২টি করেছে সেট-পিস থেকে। ২০১৮ সালে তাদের ৭৫ শতাংশ গোল এসেছে ‘ডেড বল’ পরিস্থিতিতে (১২ গোলের মধ্যে ৯টি)।
* ইরান কখনো বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করতে পারেনি, জিতেছে ১৫ ম্যাচের মাত্র দুটিতে- ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২০১৮ সালে মরক্কোর বিপক্ষে। টুর্নামেন্টে এটা তাদের ষষ্ঠ অংশগ্রহণ এবং টানা তৃতীয়বারের মতো।
* বিশ্বকাপে ১৫ ম্যাচে মাত্র ৯ গোল করেছে ইরান। টুর্নামেন্টে দশের অধিক ম্যাচ খেলা যেকোনো দলের তুলনায় তাদের গড় গোল (০.৬) সর্বনিম্ন। ১৫ ম্যাচের মাত্র ১টিতে একের অধিক গোল করতে পেরেছে ইরান। সেটা ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে (২-১)।
* সবশেষ দুই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ২০ দলের মধ্যে ইরান একটি। দুই টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্ব বিবেচনায় এই দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম শট (৪৭), সবচেয়ে কম অন-শট (১০) এবং সবচেয়ে বেশি গোল (৩) করেছে ইরান।
এসজি