নকআউট খেলতে ছলচাতুরি করবে কাতার!
যদি কোনো ইভেন্ট বিশ্বকে একত্র করতে পারে, তবে সেটা ফুটবল বিশ্বকাপ। ইতিহাস এর সাক্ষী। ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে বহু ঘটনা আছে যা নিন্দনীয় আবার নন্দিত। যেমন ডিয়েগো ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’। এবার যোগ হতে যাচ্ছে আরেকটি বিতর্ক। সেটা হলো- নকআউট খেলতে ছলচাতুরি করবে কাতার! এমনই সতর্কবার্তা জমা পড়েছে ফিফার দরবারে।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে গুরুতর অভিযোগটি এনেছে ফিফার ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের এক সদস্য। ওই কর্মকর্তা পেছনের কিছু দিন পর্যালোচনা করে বিশ্বকাপ ফুটবল গর্ভনিং বডিকে জানিয়েছেন, কাতারকে তাদের প্রাক-বিশ্বকাপ প্রীতি ম্যাচগুলোতে ‘অস্বাভাবিকভাবে অসংখ্যক পেনাল্টি’ উপহার দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ ম্যাচগুলো হয়েছে বন্ধ স্টেডিয়ামের ভেতরে। সেগুলো দেখানো হয়নি টেলিভিশনে। নেই কোনো ভিডিও ফুটেজ।
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিতে ইতিবাচক ফল পেতে কাতারকে অনেক বেশি পেনাল্টি উপহার দেওয়া হয়েছে। যদিও ভিডিও ফুটেজ না থাকায় এই অভিযোগের প্রমাণের দেওয়ার সুযোগ নেই। এমনটা উল্লেখ করে ফিফাকে সতর্ক করেছে ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের ওই সদস্য। বিশ্বকাপ আয়োজকদের লুকোচুরির ভয়ংকর সব তথ্য ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচের সংখ্যাও অস্বাভাবিক। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২ দলের তুলনায় তারা অনেক বেশি ম্যাচ খেলছে সাম্প্রতিক সময়ে। যেমন জুলাইয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। আর বিশ্বকাপ আয়োজকদের সাতটি ম্যাচ খেলা শেষ!
গ্রীষ্মজুড়ে ওই ম্যাচগুলোর মধ্যে পাঁচটিই বদ্ধ স্টেডিয়ামে খেলেছে কাতার, এমনকি স্পন্সর এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের ট্রেনিং গ্রাউন্ড থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আর জনসাধারণের কাছে প্রচার করা হয়েছিল সামান্য তথ্য। ইন্টেগ্রিটি সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, কাতারের মনিটরিং সেলও প্রশ্নবিদ্ধ ম্যাচগুলোর তথ্য খুঁতে পেতে লড়াই করছে।
বিশ্বকাপের ঐতিহ্য অনুযায়ী এবারও স্বাগতিকদের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। আগামীকাল উদ্বোধনী দিনে কাতারের প্রতিপক্ষ লাতিন অঞ্চলের ইকুয়েডর। ‘এ’ স্বাগতিকদের অপর দুই প্রতিপক্ষ- হল্যান্ড ও সেনেগাল। বলা বাহুল্য, এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে দুর্বল দল হলো কাতার, যারা স্বাগতিক হওয়ার কারণে প্রথমবার খেলবে ফিফার মেগা ইভেন্টে।
‘এ’ গ্রুপ থেকে যদি কাতার নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে পারে, তবে সেটা হবে বড় আশ্চর্যের বিষয়। অথচ অসাধ্য এই কাজ সাধন করতেই জাতীয় ফুটবল দলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে কাতার সরকার ও শাসক পরিবার। চাপের মুখে থাকা ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেরেছে আইসোলেশন ও গোপনীয়তা রক্ষা করে!
নিজেদের প্রতিবেদনে যাচাই করতে ফিফার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ডেইলি মেইল। কিন্তু বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করতে চাইলে সাড়া দেয়নি বিশ্বকাপের আয়োজকরাও।
এসএন