কাতার বিশ্বকাপে ডেনমার্কের অনুপ্রেরণা এরিকসেন
গত বছর ইউরো ফুটবলে মাঠেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন ডেনমার্কের ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। যা ছিল ফুটবল বিশ্বে আলোচিত ঘটনা।
কোনোদিন মাঠে ফিরে আসা দূরে থাক জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসাটাই ছিল এরিকসেনের জন্য অনিশ্চিত। কিন্তু সবকিছু পেছনে ফেলে ঠিকই আবারও মাঠে ফিরে এসে দাপটের সঙ্গেই ফুটবল খেলছেন এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে ডেনমার্কের হয়ে মাঠ মাতানোর অপেক্ষায় এরিকসেন। যা দেখতে মুখিয়ে আছে ড্যানিশ সমর্থকরা। বিশ্বকাপে এরিকসেনকেই বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন দেশটির ভক্তরা।
মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ৮ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন এরিকসন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগের মাধ্যমে মাঠে ফিরে আসেন। এর কয়েক সপ্তাহ পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ডেনমার্কের জাতীয় দলেও ফিরে সবাইকে বিস্মিত করেন। তাকে ছাড়া ইউরোর সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও সহজেই পার করেছিল ডেনমার্ক। কিন্তু তারপরও দীর্ঘদিন পর তাকে জাতীয় দলের সতীর্থরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।
ড্যানিশ এক ফুটবল ধারাভাষ্যকার আন্দ্রেস ক্রল বলেছেন, ‘এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তার মাঠে ফিরে আসাটা ছিল রূপকথার গল্পের মতো। বাস্তবতার সঙ্গে যার কোনো মিল নেই। আর যেই মুহূর্তে এরিকসেন মাঠে ফিরেছে তখন থেকেই সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। একটি বিষয় স্বস্তির যে শুধুমাত্র তার উপর নির্ভর করে খেলোয়াড়রা মাঠে নামে না। এটা অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। মাঠে সে কারণে এরিকসেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং খেলাটাকে উপভোগ করেন।’
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ড্যানিশ কোচ কাসপার হালমান্ড জাতীয় দলে অবদানের জন্য এরিকসনের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন বিহীন দলটির থেকে এখনকার দলটি অনেক বেশি উন্নত। কারণ দলে তার উপস্থিতি সবার মধ্যে অন্যরকম এক উদ্দীপনা দেয়, তার ধৈর্য সংক্রামক হিসেবে কাজ করে। এ কারণে পুরো দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।’
মাত্র ৫৯ লাখ জনসংখ্যার ছোট দেশ ডেনমার্কের জনগণ তাদের জাতীয় দলের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ। এরিকসেনের অসুস্থতার পর পুরো পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। ডেনমার্কের এক সমর্থক তো বলেছেন, ‘সে এখন আমাদের কাছে আশা ও আনন্দের প্রতিচ্ছবি।’
এসজি