কিংয়ের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল উইন্ডিজ
জিতলেই বিশ্বকাপের মূল পর্ব আর হারলেই বিশ্বকাপকে বলতে হবে বিদায়। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই আজ মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে নিকোলাস পুরানের এই সিদ্ধান্ত যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে যায়নি।
প্রথম ৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা করে মাত্র ১১ রান। আর পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান করতে তারা হারায় ২ উইকেট। যা কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে একেবারে বেমানান। ওপেনার কাইল মায়ার্স মাত্র ১ রান করে ফিরেন। ব্যারি ম্যাকক্যার্থির বলে মিড অফে হ্যারি টেক্টরের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
অন্যদিকে চতুর্থ ওভারে ঝড় তুলেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লস। কুর্টিস ক্যাম্ফারের বলে দুটি চার ও ছয় মেরে নেন ১৬ রান। তবে এরপরই যেন নিভে যান তিনি। সিমি সিংয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাম্ফারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন তিনি। খেলেন ১৮ বলে ২৪ রানের ইনিংস।
দলের ব্যর্থতায় হাল ধরতে পারেননি এভিন লুইস। তিনি ১৮ বলে ১৩ রান করে গ্যারেথ ডিলানি বলে মার্ক অ্যাডাইরয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। তবে দারুণভাবে লড়াই চালিয়ে যান ব্র্র্যান্ডন কিং। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন নিকোলাস পুরান ও রোভম্যান পাওয়াল। ১১ বলে ১৩ রান করে ডিলানির বলে ক্যাচ দেন টেক্টরকে। একই পথে হাঁটেন রোভম্যান। তিনি ৮ বলে ৬ রান করে ডিলানির শিকার হন টেক্টরের ক্যাচ হয়ে।
অন্যদিকে ব্যাট হাতে লড়তে থাকেন কিং। মাঠের চারপাশে বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে খেলেন অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস। তিনি ৪৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে এই ইনিংস খেলেন। আর ওডেন স্মিথ ১২ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে খেলেন ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
তাদের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে স্কোরকার্ডে ১৪৬ রান করতে সক্ষম হয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পেতে আয়ারল্যান্ডকে করতে হবে ১৪৭ রান।
এসজি