প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে পেল বাংলাদেশ
একটি ম্যাচে সাধারণত দুটি পক্ষ থাকে। সবারই দৃষ্টি থাকে দুই দলের দিকে। কিন্তু কখনো কখনো এই দুই দলের বাইরে একাধিক দলও ম্যাচে অদৃশ্যমান অবস্থায় সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। মাঠে খেলছিল নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু এই ম্যাচের দিকে নজর ছিল নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের।
নেদারল্যান্ডসের নজর ছিল তারা সুপার টুয়েলভে যেতে পারবে কি না। যদি নামিবিয়া জিতে যায় তাহলে নেদারল্যান্ডস নেট রান রেটে বাদ পড়বে। তখন এই দুই দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কারও পয়েন্ট হবে ৪ করে। নেট রান রেটে নামিবিয়া হবে চ্যাম্পিয়ন, শ্রীলঙ্কা রানার্সআপ। কিন্তু নামিবিয়া হেরে যাওয়াও কপাল খুলে যায় নেদারল্যান্ডসের। মাঠের বাইরে থেকে ‘এ’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে তারা উঠে যায় সুপার টুয়েলভে।
বাংলাদেশের নজর ছিল আগামী ২৪ অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে? এই গ্রুপে যে দল রানার্সআপ হবে সেই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। নামিবিয়া জিতলে শ্রীলঙ্কা হতো রানার্সআপ। বাংলাদেশ পেত তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ। কিন্তু হেরে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কা হয়ে যায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ হয় নেদারল্যান্ডস। এখন ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ তাদের মিশন শুরু করবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময় খুবেই বাজে যাচ্ছে। আছে হারের বৃত্তে। একটি জয়ের জন্য তীর্থের কাকের মতো সবাই চেয়ে আছেন লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে। নেদারল্যান্ডস প্রতিপক্ষ হওয়ায় বাংলাদেশের সামনে সেই খরা কাটানোর সুযোগ চলে এসেছে। ফলাফল কী হবে তা অজানা থাকলেও অন্তত জয়ের আশা করা যায়। কিন্তু শ্রীলঙ্কা হলে সেই আশাও করা যেত না।
বাংলাদেশ দলের মাঠের খেলার যে অবস্থা, তাতে করে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেদারল্যান্ডস যতই দুর্বল হোক না কেন, মাঠে জেতার মতো খেলতে হবে। নতুবা হেরে গেলে পতনের আর শেষ থাকবে না। কারণ শ্রীলঙ্কা হলে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হার অনেকেই মেনে নিতেন। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে গেলে তা মেনে নেওয়া যে কারও জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
নেদারল্যান্ডস যতই দুর্বল হোক না কেন এই দলের কাছে কিন্তু বাংলাদেশের হারের নোনা স্বাদ আছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশ গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। সেখানে প্রথমটিতে ৮ উইকেটে জিতলেও পরের ম্যাচে হেরেছিল ১ উইকেটে। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হয়েছিল। স্বাগতিকরা সেই রান অতিক্রম করেছিল ৯ উইকেট হারিয়ে শেষে বলে। কাজেই শঙ্কা কিন্তু বাংলাদেশ দলের জন্য থেকেই যাচ্ছে।
এমপি/এসজি