এনসিএলে সিলেট, বরিশাল, রাজশাহীর জয়
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডে সবকটি ম্যাচই নিষ্পত্তি হয়েছে। তৃতীয় দিনই মিরপুরে নিষ্পত্তি হয়েছিল প্রথম স্তরের চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের খেলা। রংপুর বিভাগ জয়ী হয়েছিল ৭ উইকেটে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চতুর্থ দিনে জয় পেয়েছে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগ। সিলেট ৪ উইকেটে ঢাকা বিভাগকে, বরিশাল ৭১ রানে খুলনা বিভাগকে এবং রাজশাহী ১০ উইকেটে ঢাকা মেট্রোকে পরাজিত করে। সিলেট একমাত্র দল হিসেবে টানা দুই জয় পেয়েছে।
বিকেএসপিতে প্রথম স্তরের ম্যাচে ২১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেট তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ১১০ রান করে। ইমতিয়াজ ৪২ ও জাকির ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইমতিয়াজ ৫১ রান ও জাকির ৩৮ রান করে আউট হলেও জাকের আলী ৪৬ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। সিলেট ৬ উইকেটে ২১৮ রান করে ম্যাচ জিতে ৪ উইকেটে। ম্যাচ সেরা হন তানজিম হাসান সাকিব।
কক্সবাজারে বরিশাল ও খুলনার ম্যাচ তৃতীয় দিন শেষে ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছিল। কারণ তৃতীয় দিন শেষে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংস বাকি ছিল। আবার বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস চলছিল। ৩৫ রানে এগিয়ে থাকা বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান করে ২৩০ রানে এগিয়ে ছিল। সেখানে তারা বাকি ৬ উইকেটে মাত্র ১৭ রান যোগ করে ২১২ রানে অলআউট হয়ে যায়। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহাগ গাজী বেশি দূর যেতে পারেননি। আশরাফুল ৫৫ রানেই আউট হয়ে যান। সোহাগ গাজী ৬৪ রানের সঙ্গে ৯ রান যোগ করে আউট হন ৭৩ রানে। টিপু সুলতান ৩৭ রানে নেন ৫ উইকেট। ২৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুলনা ১৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। তানভীর ইসলাম ৭৯ রানে ৪টি ও মইন খান ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন সোহাগ গাজী।
চট্টগ্রামে ঢাকা মেট্রো ৪ উইকটে ১৮১ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল ৪১ রানে পিছিয়ে থেকে। কিন্তু তারা সেই পিছিয়ে থাকা পূরণ করে খুব বেশি দূর লিড নিয়ে যেতে পারেনি। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়ুবের ৫৮ ও জাহিদুজ্জামান ৫১ রানে নিয়ে খেলতে নেমে দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান। আইয়ুব ৬১ ও জাহিদুজ্জামান ৫৯ রানে ফিরে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা আর ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে তারা এগিয়ে থাকে মাত্র ৩৬ রানে। সেই রান রাজশাহী করে বিনা উইকেটে। জহুরুল ১৬ ও জুনায়েদ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা মুশফিকুর রহিম।
এমপি/এসজি