আরব আমিরাতের চমকে নামিবিয়ার বিদায়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর শুরু হয়েছিল চমক দিয়ে। সেই চমক দেখিয়েছিল নামিবিয়া। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ রানে হারিয়ে। গতবার চূড়ান্ত পর্বে খেলা নামিবিয়ার এই চমকে তাদের সুপার টুয়েলেভের সম্ভাব্য দল ভাবতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই ভাবনায় ছেদ পড়েছে। নামিবিয়া যেতে পারেনি সুপার টুয়েলভে।
প্রাথমিক রাউন্ডের ‘এ’ গ্রুপে সুপার টুয়েলভে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রয়োজন ছিল জয়। প্রতিপক্ষ ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। শক্তির বিবেচনায় আরব আমিরাত অনেক দুর্বল। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে তারা হেরেছিল। সেই আরব আমিরাতই নামিবিয়াকে ৭ রানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পায়। কপাল পুড়ে নামিবিয়ার। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাত ৩ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়া ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আরব আমিরাতের এটি ছিল প্রথম জয়।
জিলংয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাত রানের গতি সেভাবে বাড়াতে পারেনি। উইকেট মাত্র ৩টি পড়লেও রান করে ১৪৮। নামিবিয়ার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা মজবুত সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও রান করে মাত্র ৩০। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৩৯ রানে। ওভার তখন ৮.১টি। অরভিন্দ ৩২ বলে ২১ রান করেই দলকে অনেক পিছিয়ে দেন। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমের ৪১ বলে ৫০, রিজওয়ানের ২৯ বলে ৪৩ ও বাসিল হামিদের ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে শুরুর ধীরগতি কাটিয়ে ৩ উইকেটে ১৪৮ রান রান করে। নামিবিয়ার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ডেভিড উইসি, বার্নেড ও সিকোনগো।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়া শুরুতেই বিপদে পড়েছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে মাত্র ৩৪ রান। একপর্যায়ে রান ছিল ৪৬ রানে ৫ উইকেট। ওভার ৭.৫টি। হার তরান্বিত। ১৫ ওভার শেষে নামিবিয়ার রান ছিল ৭ উইকেটে ৮৫। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ৩০ বলে ৬৪ রানের। নামিবিয়ার হার সময়ের ব্যাপার। একমাত্র ডেভিড ওয়েসি ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ছিলেন না।
ঠিক তখনই জেগে উঠেন ডেভিড। হয়ে উঠেন মারমুখী। সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান রুবেন ট্রুমপেলমানকে। ১৫ ওভার শেষে ডেভিডের ব্যক্তিগত রান ছিল ২১ বলে ২১। এসময় প্রচণ্ড মারমুখী হয়ে উঠেন ডেভিড। ১৬তম ওভারে ১৮, ১৭তম ওভারে ১০ ও ১৮তম ওভারে ১৬ রান যোগ করলে শেষ ২ ওভারে নামিবিয়ার প্রয়োজন পড়ে ২০ রানের। কিন্তু ১৯তম মাত্র ৬ রান আসলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৪ রানের। যেভাবে দুই ব্যাটসম্যান রান করছিলেন তাতে করে ১৪ রানও কঠিন কিছু হওয়ার ছিল না। কিন্তু সেখানেই তারা ব্যর্থ হন। প্রথম ৩ বলে মাত্র ৪ রান আসে দুই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। চতুর্থ বলে আউট হয়ে যান ডেভিড। ডেভিড ৩৬ বলে ৩টি করে চার ও ছয় মেরে ৫৫ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন। অষ্টম উইকেট জুটিতে রান আসে ৭ ওভারে ৮০। তারপরও সম্ভাবনা ছিল। শেষ ২ বলে ১০ রান করতে হতো। সেখানে তারা নিতে পারেন মাত্র ২ রান। ম্যাচ সেরা হন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এমপি/এসজি