বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চায়ের দোকানই ক্রিকেট ক্লাব!

মহাসংকটে জাতীয় দল। এই সংকটের কারণে মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ের অভাব। ‘পঞ্চপাণ্ডব’র উপর ভরসা করে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু সেই পঞ্চপাণ্ডব এখন আর নেই। কোনো ফরম্যাটেই নেই মাশরাফি। টি-টোয়েন্টিতে নেই তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্রিকেটে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানই আছেন তিন ফরম্যাটে। চার পাণ্ডবের অভাব যে কতোটা প্রকট তা বোঝা যায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিকে তাকালেই। একসঙ্গে চারজন না খেলাতে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করার মতো মানসম্পন্ন খেলোয়াড় নেই। যে কারণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশাল সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই মানসম্পন্ন বা চার পাণ্ডবের সমমানের ক্রিকেটার না পাওয়ার একমাত্র কারণ পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া। গাছের গোড়া কেটে দিলে যেমন গাছ বাঁচানো যায় না, তেমনি পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়ার প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলে। যা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জাতীয় দল।

এই পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে বিসিবির একটি কুচক্রি মহল। বিসিবির ভোটের রাজনীতিতে ‘কাউন্সিলর’ নিশ্চিত করতে গিয়ে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটকে তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন। এক সময় যেখানে ৪০ থেকে ৫০টি ক্লাব তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটে অংশ গ্রহণ করত, সেখানে গত ৭ থেকে ৮ বছর যাবৎ সেই সংখ্যা নেমে আসছে মাত্র ২টিতে! ‘অদৃশ্য’ কারণে ২টির বেশি ক্লাবকে নাম এন্ট্রি করতে দেওয়া হয় না? এই দুইটি ক্লাবই হয়ে থাকে বিসিবির নীতি নির্ধারকদের পছন্দের। অন্য কোনো ক্লাব খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও নিয়ম-কানুনের নানা কারণ দেখিয়ে তাদের নাম এন্ট্রি করতে দেওয়া হয় না। অভিযোগ আছে যে সব কারণে ক্লাবগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, নিজেদের পছন্দের ক্লাবের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মই মানা হয় না। এরপর টস করে চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ নির্ধারণ করা হয়। তার মানে যেখানে ৪০/৫০টি ক্লাবের অধীনে কয়েকশ ক্রিকেটার নিজেদের মেলে ধরার প্রতিযোগিতায় শামিল হতেন, সেখানে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটে একেবারে উঠতি বয়সের ক্রিকেটারই খেলে থাকেন। কিন্তু খেলা না হওয়ার কারণে এই সব ক্রিকেটাররা বিসিবিরি অধীনে একটি লিগ খেলা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। এ নিয়ে বিসিবির কর্তাদের নেই কোনো ভাবাবেগ! অথচ তারাই গলা ফাটিয়ে ক্রিকেটের উন্নতির কথা বলে যান!

মজার বিষয় গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ নির্ধারণ করতে গিয়ে বিসিবির নীতি নির্ধারকরা সদয় হয়ে ‘একটি’ ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন। যেখানে মহাখালী একাডেমি চ্যাম্পিয়ন ও উইঙ্গার রানার্সআপ হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই দুইটি ক্লাবও বিসিবির ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা কতিপয় পরিচালকদেরই ঘরানার। তাদের নাম এন্ট্রি করার ক্ষেত্রেও যথারীতি মানা হয়নি নিয়ম-কানুন। এখানে কী পরিমাণ অসচ্ছ্তার আশ্রয় নিয়েছে লিগ পরিচালনকারী বিসিবির স্ট্যান্ডিং কমিটি সিসিডিএম, তা বুঝা গেছে ক্লাব দুইটি সর্ম্পকে তথ্য জানতে গিয়ে। ক্লাব দুইটি সর্ম্পকে তথ্য জানতে চাইলে সিসিডিএমে কর্মরত স্টাফরা নানা টালবাহানা শুরু করেন। শুধুমাত্র ক্লাব দুইটির নাম দিয়েই তারা দায় এড়াতে চেয়েছিলেন। দুইটি ক্লাবের ঠিকানা কী? ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কারা? তাদের মোবাইল ফোন নম্বর কী?

এসব তথ্য জানতে চাওয়া হলে সিসিডিএম থেকে দেই দিচ্ছি করে তিন দিন পার করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে তার নির্দেশে পরে দুইটি ক্লাবের প্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ করে জানা যায় দুইজনেই দুইটি ক্লাবের কোচ। মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যানের ক্লাব উইঙ্গারের কোচ ফয়সাল মাহমুদ, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমির কোচ রায়হান গাফফার সায়মন। কিন্তু এই দুইজনই খেলা ছাড়া ক্লাব সম্পর্কে কোনো তথ্যই দিতে পারেননি। উইঙ্গারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কে তা জানাতে পারেননি ফয়সাল।

এলাকার নাজমুল নামে এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে তিনি ক্লাবটি দেখাশুনা করছেন বলে জানালেও তার অনুমতি ছাড়া মোবাইল নম্বর দিতে পারবেন না বলে জানান। সায়মন মহাখালী ক্রিকেট একাডেমির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের শুধু নিক নাম বলতে পেরেছেন, পুরো নাম জানেন না। তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও দিতে পারেননি জানা না থাকার কারণে। সভাপতি রিফাতুল বিদেশ থাকেন। কোন দেশে থাকেন। তাও জানেন না। শুধু জানিয়েছেন ইউরোপের একটি দেশে থাকেন। সাধারণ সম্পাদকের নাম বলেন ‘মজিদ ভাই’। দুই জনই মোবাইল ফোন নম্বরের জন্য পরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু পরে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ-ই ফোন ধরেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সিসিডিএমের নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লাবকে নাম এন্ট্রি করতে হলে স্থায়ী অথবা অস্থায়ী ক্লাব ঘর থাকতে হবে। সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। থাকতে হবে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও ক্লাবের নির্বাহী কমিটিও। কিন্তু প্রথম দুইটিই ছিল না ক্লাব দুইটির।

উইঙ্গারের কোচ ফয়সাল ক্লাব থাকার কথা বললেও মহাখালী ক্রিকেট একাডেমির কোচ সায়মান কোনো রকম রাখডাক না করে সরসারি বলেন, ‘মনে করেন চায়ের দোকানই ক্লাব।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উইঙ্গারেরও কোনো ক্লাব নেই। সমবায় অধিদপ্তরের ক্লাব নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ওয়ারেস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ক্লাব নিবন্ধনের আগে গোয়েন্দা প্রতিবেদন লাগে। সেক্ষেত্রে ক্লাব ঘর থাকা জরুরি। ঢাকাপ্রকাশ-কে তিনি বলেন, ‘ক্লাব নিবন্ধন করতে হলে অবশ্যই স্থানীয় কিংবা ভাড়া ক্লাব ঘর থাকতে হবে। কারণ অনুমোদন দেওয়ার আগে গোয়েন্দা প্রতিবেদন লাগে। ক্লাব ঘর না থাকলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে না।’

একটি ক্লাব নিবন্ধন দেওয়ার আগে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হয় বলে জানান তিনি। যেখানে এই দুইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবের আর্থিক যোগান আসে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে।  

কোনো রকম নিয়ম না মেনে ক্লাব দুইটিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া সম্পর্কে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো ক্লাবকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটি আমার সময়ে হয়নি। আগের কমিটি করেছে।’

সিসিডিএমের আগের চেয়ারম্যান ছিলেন কাজী ইনাম। তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি জবাব দেননি। দুই চেয়ারম্যানের বিষয়টি উল্লেখ করে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি পুরো বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দুই কমিটিরই সদস্য সচিব আলী হোসেন ছিলেন জানিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

আলী হোসেন আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাপ্রকাশ-কে তিনি বলেন, ‘আমরা সব কিছু দেখেই অনুমোদন দিয়েছি।’ মহাখালী ক্রিকেট একাডেমির কোচ সায়মনের ‘মনে করেন চায়ের দোকানই ক্লাব’ কথাটি তাকে জানালে তিনি সেই আগের কথাই বলেন, ‘আমরা সব দেখেই অনুমোদন দিয়েছি।’

অনুমোদন দেওয়ার আগে তারা কি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছিলেন- জানতে চাইলে তিনি আবারও সেই একই কথা বলেন, আমরা সব দেখেই অনুমোদন দিয়েছি।’ এমনকি সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে বলেও জানান তিনি। পরে অস্ট্রেলিয়ায় রাত অনেক হয়েছে। তিনি ঘুম থেকে জেগে ফোন ধরেছেন জানিয়ে পরের দিন কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।

এমপি/এসএন

Header Ad

সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের ১ম বর্ষ অনার্স পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সনের ১ম বর্ষ অনার্স পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। অন্যান্য পরীক্ষার পূর্বঘোষিত সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে অতিদ্রুত এই বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ন সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। এবং দেশে যেন কোনো রকম অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হবে। আমরা বলে এসেছি, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোকে মোকাবিলার জন্য আমাদের বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা স্ট্যাবিলি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বলেছি।

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য তৈরির বিষয়ে আমরা বলে এসেছি। নির্বাচনের জন্য যেটা প্রয়োজন, সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত রোডম্যাপ দিতে বলে এসেছি। প্রধান উপদেষ্টা এবং যে সদস্যরা ছিলেন তারা মনযোগ নিয়ে শুলেছেন।

বিএনপি নেতাদের নামে সারা দেশে যে মামলাগুলো রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান দলটির মহাসচিব।

Header Ad

ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো থামছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজধানীর মিরপুরে নিহত ‘শহীদ’ পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোর কাছে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রিজভী। এ সময় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তার যে টাকার উৎস- এটা এখনো তৃণমূলে অনেকের কাছে নানাভাবে রয়েছে। ওই টাকাগুলোই খরচ করে তারা এলাকার পর এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, চট্টগ্রামে গতকাল (মঙ্গলবার) একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি সংগঠনের অভ্যুদয় দেখছি খুব অল্প কিছুদিন ধরে। এই সংগঠনটি কীভাবে তৈরি করা হলো, কে কে এর নেতৃত্বে আছে? গতকাল (মঙ্গলবার) এই সংগঠনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; এরা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সেজে এই সংগঠনটির মধ্যে ঢুকে সারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের একজন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, এই কারণে ভারত থেকে তার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এগুলো কীসের আলামত?

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আমাদের প্রায় দুই হাজারের মতো সাধারণ মানুষকে, বাচ্চা ছেলেদের গুলি করা হয়েছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কই তখন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর একটা স্টেটমেন্ট দেয়নি? শেখ হাসিনার এই ভয়ংকর নিপীড়নের জন্য, এই রক্তক্ষরণের জন্য একটা স্টেটমেন্ট তো দেননি? সরকার এবং সব মানুষ আজকে বুঝতে পারছে, কোনো একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের খেলা চলছে? কোনো কিছু একটা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটাতো সূর্যের আলোর মতো একেবারে পরিষ্কার। এই সংকটটা কৃত্রিমভাবে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ বিভাগীয় শহরগুলোতে নেমে পড়ছেন, দাবি জানাচ্ছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পাশাপাশি শান্তিতে-সহাবস্থানে দীর্ঘদিন বাস করছি। আজকে কেন পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে, এখানে হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরাট অংশ এর মধ্যে নেই। তারাও বুঝতে পারছে যে, কোন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। একজন আইনজীবীকে পর্যন্ত হত্যা করার মতো ধৃষ্টতা দেখানো হচ্ছে; এর জন্য ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তো কোনো বিবৃতি দিল না। অস্থিতিশীলতা তৈরি করার কারণে চিন্ময় ব্রহ্মচারী নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ জন্য তো বিবৃতি দিল না। সে তো বাংলাদেশের নাগরিক; তার প্রতি যদি সরকার অন্যায় করে, তাহলে তাদের লোকজন এখান থেকে দাবি তুলতে পারেন। কেন বাহিরের একটি দেশ থেকে এই ধরনের প্রতিবাদ আসছে? এগুলো তো সব রহস্যজনক বিষয়। বাংলাদেশকে তারা মনে হয় স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা মনে করে- দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে, বাংলাদেশ সেভাবে চলবে। এটা ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এই দেশ এভাবে চলতে পারে না। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকাররা এটা যেন ভুলে না যায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভারতের অনেক ছাত্র সংগঠন সমর্থন দিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে। কিন্তু ভারতের যে শাসকগোষ্ঠী, পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ভারত শাসন করছে। এই কারণেই তারা একচোখা নীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশকে দেখছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের যে প্রক্রিয়া চলছে, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যে দেশ যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ-সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে- এটাকে মনে হয় অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। এই ধরনের পরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। কারণ, দেশের মানুষ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন ও সংগ্রামী। নিজের জীবন উৎসর্গ করে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে জানে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, শাহাদত হোসেন, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট