মাশরাফিকে নিয়ে বিপিএলের শিরোপা খরা ঘুচাতে চায় সিলেট স্ট্রাইকার্স
বিপিএলে সিলেটের টিম মানেই নিচের দিকে থাকা। সবার আগে আসর থেকে বাদ পড়া। কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরের কথা, ফাইনালই খেলতে পারেনি। একবার মাত্র কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে উঠেছিল। বাংলাদেশের দ্বিতীয় লন্ডন বলে খ্যাত এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সিলেটের এমন হতাশাজনক ফলাফলে যার পরনাই হতাশ বৃহত্তর সিলেটবাসী।
এবার তাদের সেই হতাশা থেকে মুক্ত করতে চান সিলেট স্ট্রাইকার্সের চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী। আজ রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেল জাঁকজমকপূর্ণ লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা এই হতাশা দূর করতেই এগিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্যও তাই। আমরা চেষ্টা করে যাব। দেশি-বিদেশি ভালোমানের ক্রিকেটার দলে নিতে। ইতোমধ্যে আমরা আইকন হিসেবে মাশরাফিকে নিয়েছি। আশা করি আমরা এবার ভালো করব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল বিন ইউসুফ, পরিচালক জগলুল হুদা মিটু, মো. নাঈম খন্দকার, ইমাম হোসেন, রাজিব খান, সাইফুর রাজা চৌধুরী।
বিপিএলের নবম আসর শুরু হবে নতুন বছরের প্রথম মাসের ৫ জানুয়ারি। ৪৩ দিনের আসর শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। এখনো প্রেয়ার্স ড্রাফট হয়নি। কিন্তু সবার আগে তারা আইকন ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দলে ভিড়িয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছে। আইকন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ, এমন কী বিদেশি ক্রিকেটার চারজনও দলে ভিডিয়েছে। এখন বাকি শুধু প্লেয়ার্স ড্রাফটস থেকে ভালোমানের দেশি ক্রিকেটার নেওয়া।
মাশরাফি বলেন, ‘আমি আমার শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব নিশ্চিত। সিলেট হয়তো কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বা ভালো করতে পারেনি। এজন্য শুরু থেকেই বলেছি টিম ম্যানেজম্যান্ট শক্ত করতে। যতটুকু সম্ভব তা করা হয়েছে। এ ছাড়া ড্রাফটের উপরেও নির্ভর করে। সেখান থেকে খেলোয়াড় কারা আসে তাও দেখতে হবে। মাঠের ভেতরে শৃঙ্খলা কেমন, তাও গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষে কেমন খেলতে পারব তখন আসলে বোঝা যাবে। আমরা আশাবাদী। সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে হচ্ছে।’
আজকের অনুষ্ঠানে আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মাশরাফিকে পরিচয় করে দেওয়া ও লোগ উন্মোচন ছাড়াও থিংম সং প্রকাশ করা হয়। প্রকাশ করা হয় দেশি কোচিংস্টাফেরও। তারা হলেন, সহকারী ও ব্যাটিং কোচ রাজিন সালেহ, সহকারী কোচ নাজমুল ইসলাম, পেস বোলিং কোচ সৈয়দ রাসেল, মুরাদ খান স্পিন বোলিং কোচ এবং ডলার মাহমুদ ফিল্ডিং কোচ, ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ও ফিজিও জহুরুল হক উজ্জ্বল। ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবাল।
চার বিদেশি ক্রিকেটার হলেন, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির এবং শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জায়া ডি সিলভা।
চার বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের বিষয়টা হলো... একইসময়ে বেশ কয়েকটি লিগ চলবে। যে কারণে তাদের পাওয়ার একটা বিষয় আছে। একইসঙ্গে বাজেটের একটা বিষয় থাকে। সবকিছু মিলিয়ে আমি বলব ঠিক আছে। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে যদি মেলান, অনেকে হয়তো বলবে না, তবে দিন শেষে যেটা বললাম, এরা (চার বিদেশি) সবাই পারফর্মার।’
বিপিএলে সিলেটের ফলাফল যেমন ভালো নয়, তেমনি ফ্রাঞ্চাইজিরাও এক একবার একজন আসেন। আবার চলে যান। এবার সিলেট সট্রাইকার্স যাওয়ার জন্য আসেনি। এবার ফ্রাঞ্চাইজি কিনে নিয়েছে ফিউচার স্পোর্টস। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা এসেছি ভালো একটা কিছু করার জন্য। দেশের ক্রিকেটে ভূমিকা রাখার জন্য।’
এমপি/এসএন