ফিরেই মুশফিকের সেঞ্চুরি, তামিম আবারও ব্যর্থ
২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) খেলা হচ্ছে ডিউক বলে। এই বলে ব্যাটসম্যানদের রান করতে নাভিশ্বাস উঠছে। কোনোরকমে দলগুলো শতরান পার করছে। প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডেও চলছে বোলারদের শাসন। সেখানে চমক দেখালেন জাতীয় দলের পোড় খাওয়া ক্রিকেটার অভিজ্ঞতায় হৃদ্ধ মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় স্তরের এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। অপরাজিত আছেন ১০৮ রানে। টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেছিলেন তিনি। এরপর তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে রাজশাহী আছে বিশাল লিডের পথে। ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৩৩৩ রান। রাজশাহী এগিয়ে আছে ১৯৯ রানে। ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংসে করেছিল ১৩৪ রান।
মুশফিক ছাড়া জুনায়েদ সিদ্দিক করেন ৫৩ ও ফরহাদ রেজা ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন। ২২৮ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর মুশফিক ও ফরহাদ রেজা ১০৫ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন আছেন। মুশফিক ফিরেই সেঞ্চুরি করলেও তামিম ইকবাল টানা চতুর্থ ইনিংসে রান করতে ব্যর্থ হন। তার চট্টগ্রাম আছে হারের মুখে।
চট্টগ্রামে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে বোলাররা দাপট দেখাতে না পারলেও বাকি তিন ভেন্যুতে যথারীতি অব্যাহত ছিল তাদের দাপট। বিকেএসপিতে ঢাকা ও সিলেটের প্রথম স্তরের ম্যাচে প্রথম দিন উইকেট পড়েছিল ১২টি। আজ দ্বিতীয় দিন উইকেট পড়েছে ১০টি। সিলেট ২ উইকেটে ৫৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে অমিত হাসানের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া জাকির ৩২ ও তানজিম হাসান সাকিব ২৩ রান করেন। নাজমুল ৫৩ রানে নেন ৪টি, তাইবুর ১৫ রানে ৩টি ও শুভাগত হোম ৩৫ রানে নেন ২টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ২ উইকেটে ৮৮ রান করে এগিয়ে আছে ৪৯ রানে। মজিদ ২৫ ও রনি তালুকদার ২০ রান করে আউট হলেও সাইফ ১৭ ও রকিবুল ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
মিরপুরে চট্টগ্রাম ও রংপুরের ম্যাচে উইকেট পড়েছে ১৪টি। প্রথম দিন উইকটে পড়েছিল ১২টি। রংপুরের ৮টি ও চট্টগ্রামের ৬টি। রংপুর আগের দিনের ২ উইকেটে ৯৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে ২২২ রানে অলআউট হয়। ৫১ রান করেন নাঈম ইসলাম। প্রথম রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে ৮ উইকেট নেওয়া হাসান মুরাদ এই ইনিংসে ৪৬ রানে নেন ৫ উইকেট। ইয়াসিন আরাফাত ৫৮ রানে নেন ৩ উইকেট। মুশফিক প্রথম খেলতে নেমেই শতক হাঁকালেও জাতীয় দলের আরেক তারকা ব্যাটসম্যান তামিম টানা চতুর্থ ইনিংসেও রান করতে পারেননি। এবার তিনি আউট হয়েছেন ২১ রানে। তার ব্যর্থতায় দলও ভালো করতে পারছে না। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৬। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫০ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে। মুকিদুল ৩০ ও আলাউদ্দিন বাবু ৩৬ রানে নেন ২টি করে উইকেট। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম এগিয়ে আছে মাত্র ৩০ রানে।
রাজশাহীতে আগের দিন বরিশাল ও খুলনার ম্যাচে বোলাররা দাপট দেখাতে না পারলেও দ্বিতীয় দিনে ছিল তাদের দাপট। এদিন উইকেট পড়েছে ১১টি। ৭ উইকেটে ২১০ রান নিয়ে খেলতে নেমে বরিশাল অলআউট হয় ২৪৮ রানে। মাহেদি হাসান ৪৫ রানে নেন ৪ উইকেট। ব্যাট করতে নেমে খুলনার ব্যাটসম্যানরা রান করতে ব্যর্থ হলেও নাহিদুল একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কামরুল, তানভীর ও সোহাগ গাজী ২টি কেরে উইকেট নেন।
এমপি/এসজি