শ্রীলঙ্কার প্রথম জয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা এবারের আসরের প্রাথমিক রাউন্ডের উদ্বোধনী ম্যাচেই নামিবিয়ার কাছে হেরে অঘটনের শিকার হয়েছিল। সেই অঘটন তারা কাটিয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭৯ রানে হারিয়ে।
কার্তিক মিয়াপেনের হ্যাটট্রিকের পরও শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ১৫২ রান সংগ্রহ করে। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে আরব আমিরাতকে দাঁড়াতেই দেয়নি। ১৭.১ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায় মরুর দেশটি। এই জয়ে সুপার টুয়েলভে যাওয়ার লড়াইয়ে শামিল হলো দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
ম্যাচের ফলাফলে বোঝা যায় একতরফা খেলা হয়েছে। কিন্তু আসলে তা ছিল না। অন্তত শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১৫তম ওভারে। যখন মিয়াপেন হ্যাটটিক করেন। শ্রীলঙ্কার রানের গতি ভালোই ছিল। ১৪.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৭। ওভার প্রতি ৮ রানের উপরে। সেই ওভারের শেষ ৩ বলে মিয়াপেন পরপর রাজাপাকসে, চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকাকে আউট করে এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ছিল ৩৯তম হ্যাটট্রিক। ম্যাচে আরব আমিরাতের সান্ত্বনা এতটুকুই ছিল। এতে করে তারা লঙ্কানদের সংগ্রহ দুইশ' ছাড়িয়ে যেতে দেয়নি। কারণ টস হেরে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানদের রান ১ উইকেটে ছিল ৫২। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৮৪। সেখানে কার্তিকের হ্যাটট্রিকের কারণে পরের ১০ ওভারে রান যোগ হয় ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৮।
আগের ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে হেরে পথ হারা শ্রীলঙ্কাকে এই ম্যচে পথ দেখান ম্যাচ সেরা ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কা। তিনি ৬০ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। ওপেনার কুশাল মেন্ডিসকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ ও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৫০ রান যোগ করেন। এরপর আর কেউ তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারলেও পাথুন একাই একপ্রান্ত আগলে রেখে এক বল বাকি থাকতেই আউট হন। কার্তিক ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। জহুর খান ২৬ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে আরব আমিরাত শুরুতেই হোঁচট খায়। দুশমান্তা চামিরারার আঘাতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তাদের রান ছিল মাত্র ২৩ রান। উইকেট হারিয়েছিল ৪টি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। একপর্যায়ে ৫৬ রানে হারায় ৯ উইকেট। সেখান থেকে দলের রান ৭৩ পর্যন্ত গিয়েছিল আয়ান আফজাল খান ও জুনায়েদ সিদ্দিক শেষ উইকেট জুটিতে ১৭ রান যোগ করলে। আয়ান ১৯, জুনায়েদ ১৮ রান করেন। এ ছাড়া চিরাগ সুরি করেন ১৪ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ৮ ও দুশমান্তা চামিরা ১৫ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। মাহেশ থিকসানা ১৫ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এসজি