শোচনীয় হারকেও মোসাদ্দেক দেখছেন উন্নতি হিসেবে!
ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হারের বৃত্তে বাংলাদেশ। হারতে হারতে মনোবল তলানিতে। দল ছন্নছাড়া। বাধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়লে যেমন আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে। ঠেকানোর জন্য যা কিছু আছে তাই নিয়ে চেষ্টা করা হয়। তেমনি অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশ দলের।
হার ঠেকাতে লিমিটেড শক্তি নিয়ে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বানের পানি আর আটকানো যাচ্ছে না। হারের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশ লড়াই-ই করতে পারেনি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সর্বত্রই ছিল বাজে খেলার দৃষ্টিকটু প্রদশর্নী।
আফগানিস্তানের ৭ উইকেটে ১৬০ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে করে ৯৮ রানে। ৬২ রানে বাজেভাবে হারের পরও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দেখছেন উন্নতি হিসেবে! ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলেতে এসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘বলতে গেলে তো অনেক কিছু বলা যায়। আমরা শেষ যে সিরিজটা খেলে আসলাম সেখানে জিততে পারেনি। এখানে এসে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচেও হারলাম। তো আসলে হারতে থাকলে অনেক সমস্যায় বের হয়ে আসে। যদি আমরা ইতিবাচক চিন্তা করি তাহলে এই ম্যাচে ওইরকম কিছু ছিল না। কিন্তু এর আগের সিরিজটাতে ইতিবাচক কিছু ছিল। দল হিসেবে আমি মনে করি আমরা উন্নতি করছি।’
ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারার কারণ হিসেবে মোসাদ্দেক বলেন, ‘দেখেন ইমপ্যাক্ট ফেলেন বা এক্সজিকিউশন যা বলেন এগুলো আসলে খারাপ কিছু না। ক্রিকেটে অবশ্যই এগুলো খুব ভালো কথা যদি আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারি। যেহেতু আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছি না তাই আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারছি না। টি-টোয়েন্টিতে যদি ২০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় সে জায়গা থেকে ব্যাক করা খুব কঠিন। সেটা যদি ১২০ কিংবা ১৬০ যাই চেজ করি না কেন। তো এই জায়গাতে যদি আমরা প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারি আমরা দল হিসেবে ভালো করব।’
প্রতিপক্ষকে ১৬০ রানে আটকে রাখার পর ম্যাচ জেতা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৬০ রানের ভেতর একটা দলকে রাখতে পারছি, এই রানটা তো আমাদের চেজ করা উচিত। আমি তো আগেও বললাম আমরা আসলে দল হিসেবে ভালো করতে পারছি না। এই সময়ে আমাদের টিম মেট কিংবা সার্পোট স্টাফ যারা আছে একসঙ্গে থাকা এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যারা আছে সবার একসঙ্গে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমাদের সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে আমি মনে করি একসঙ্গে থাকলে দল হিসেবে আমরা যখন ভালো করা শুরু করব অবশ্যই আমরা অনেক ভালো কিছু করব।’
ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে না পারলেও বোলাররা ভালো করছে বলে মনে করেন মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন বোলাররা কিন্তু উন্নতি করছে। আজকেও পেস বোলারদের বোলিং দেখেন, তারা নিশ্চিতভাবে খুবই ভালো বোলিং করেছে একটা দুটা ওভার বাদ দিয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা দুটা ওভার এমন হবেই। যেটা আমরা করতে পারছি না, আমাদের বিপক্ষে সেটা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো আমরা একটু কমিয়ে আনতে পারি। ১৬০ আপনার চেজ করতেই হবে, সেটা অস্ট্রেলিয়া হোক কিংবা বাংলাদেশে। যেকোনো কন্ডিশনে আপনাকে ১৬০ চেজ করতেই হবে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে বলব যদি প্রথমেই ২০ রানে ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে এখান থেকে ফিরে আসা দলের জন্য খুবই কঠিন।’
ক্রমাগত হারলেও মানসিকভাবে পিছিয়ে যাওয়ার কারণ দেখছেন না মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, ‘এটাতে মানসিকভাবে পিছিয়ে যাওয়ার কিছু নেই। একটা জয়ের মুহূর্ত আমাদের দরকার। জয় এলেই আমি মনে করি পুরো দলের চেহারা বদলে যাবে। সেই বিশ্বাসটা আমার মনে হয় সবার করা উচিত।’
এমপি/এসজি