দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনও বোলারদের দাপট
২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডেও যথারীতি বোলারদের দাপট অব্যাহত ছিল। চারটি ভেন্যুর তিনটিতেই আগে ব্যাট করা দল অলআউট হয়েছে। শুধুমাত্র কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরে খুলনার বিপক্ষে বরিশাল অলআউট না হেয়ে ৭ উইকেটে করেছে ২১০ রান।
বাকি তিন ভেন্যুতেই উইকেট পড়েছে ১২টি করে। প্রথম স্তরে সাভারে ঢাকা বিভাগকে মাত্র ১২৮ রানে অলআউট করে সিলেট দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৫৬ রান করে। মিরপুরে একই স্তরের অপর ম্যাচে চট্টগ্রামও অলআউট হয় ১২৬ রানে। রংপুর দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৯৬ রান করে। দ্বিতীয় স্তরের চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে ১৩৪ রানে আটকে রেখে রাজশাহী করেছে ২ উইকেটে ৭২ রান।
সাভারে টস জিতে সিলেটের অধিনায়ক জাকির হাসানের বোলিং করার সিদ্ধান্তকে অর্থবহ করে তুলেন নাবিল সামাদ। প্রথম রাউন্ডে ৫ উইকেট নেওয়া এই বোলার আজও নেন ৫ উইকেট। তিনি ৩৬ রানে নেন ৫ উইকেট। দুইটি করে উইকেট নেন জাতীয় দলের দুই পেসার আবু জায়েদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ঢাকা বিভাগের পক্ষে ওপেনার রনি তালুকদার সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। ব্যাট করতে নেমে সিলেট শুরুতেই দুই ওপেনার ইমতিয়াজ ও তৌফিক খান বিদায় নিলেও অমিত হাসান ও জাকির হাসান পতন রোধ করে দিন পার করেন। অমিত ২৪ ও জাকির ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
মিরপুরে রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলীর টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকেও যথার্থ করে তুলেন বোলাররা। মুকিদুল হাসান (৪/৩৩), মুশফিক হাসান (৩/৪৬) ও আলাউদ্দিন বাবুর (২/২৯) তোপে পড়ে চট্টগ্রাম মাত্র ৫০ ওভারে ১২৬ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন হাসান মুরাদ। তামিম ইকবাল আবারও ব্যর্থ হন। তিনি ১৯ রান করে আউট হন। রংপুর ব্যাট করতে নেমে তারা দুই ওপেনার জাহিদ জাভেদ (১৩) ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (৩১) হারালেও তাইবুর রহমান ২৯ ও নাঈম ইসলাম ১৯ রান করে অপরাজিত থেকে দিন পার করেন।
চট্টগ্রামে রাজশাহীর অধিনায়ক ফরহাদ হোসেনও টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুফল ভোগ করেন। ফরহাদ রেজা ২০ রানে ও নাহিদ রানা ৩৬ রানে ৩টি করে এবং শফিকুল ইসলাম ২২ ও তাইজুল ইসালাম ৫১ রানে ২টি করে উইকেট নিলে ঢাকা মেট্রো ৫৫.৩ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট হয়। ৭৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আবু হায়দার রনি ৪৭ ও রকিবুল হাসান ২৩ রান করলে মেট্রোর সংগ্রহ শতরান পার হয়। ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী দলীয় ৪ রানে ওপেনার জহিরুল ও ওয়ান ডাউনে নামা অধিনায়ক ফরহাদ হোসেনের উইকেট হারায়। পরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক ও তৌহিদ হৃদয় ৬১ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকন। জুনায়েদ ৩২ ও তৌহিদ ২৬ রান নিয়ে আগামীকাল সোমবার দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং করতে নামবেন।
কক্সবাজারে বরিশালের বিপক্ষে খুলনার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার সুফল ভোগ করতে পারেননি। দিন শেষে তারা ৭ উইকেটে করেছে ২১০ রান। শুরুতেই দলীয় ৪ রানে মোহাম্মদ আশরাফুল ও রাফসান ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক ফজল মাহমুদ ও সালমান হোসেন ১০৮ রান করে পতন ঠেকান। সালমান ২০১ বল খেলে ৭৯ ও ফজল মাহমুদ ১০২ বল খেলে ৬৩ রান করেন। খুলনার আব্দুল হালিম ৩৫ আশিকুজ্জামান ৪০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এসজি