প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ১ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের এবারের আসরের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীরঙ্কার করা ১২২ রানের জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানের শেষ ওভারে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। উইকেটে ছিলেন নিদাদার ২১ ও আলিয়া রিয়াজ ২ রানে। অচিনি কুলাসুরিয়ার ওভারের প্রথম ৫ বলে পাকিস্তান ৬ রান সংগ্রহ করে।
শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ৩ রানের। কিন্তু নিদাদার ১ রান নিয়ে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় রানআউট হলে দ্বীপ রাষ্ট্রের মেয়েরা ফাইনালে উঠার আনন্দে মেতে উঠে। ১৬ অক্টেবার শনিবার ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার লক্ষ্যে ফাইনাল খেলবে শ্রীলঙ্কা। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও শ্রীলঙ্কা।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে দুই দল মুখেমুখি হয়েছিল। তার আগেই দুই দলেরই সেমি ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তান জিতেছিল ৫ উইকেটে। এবার শ্রীলঙ্কা প্রতিশোধ নিয়ে উঠে গেলে ফাইনালে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা খুব বেশি রান করতে পারেনি। ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন হারিসিথা সামারাবিক্রমা। এ ছাড়া, ওপেনার আনুশকা ২৬, নিলখাশি পি সিলভা, হাসিনি পেরেরা ১৩, চামিরা আতাপাত্তু ১০ রান করেন। পাকিস্তানের সানরা সান্দু ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল, নিদাদার ও আয়মান আনোয়ার।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ভালোই শুরু করেছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৬। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬২ রান। ফলে শেষ ১০ ওভারে ৮ উইকেটে প্রয়োজন পড়ে ৬১ রানের। কিন্তু সেই রানই তারা তাড়া করতে পারেনি। ৬৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বিসমাহ মারুফ ও নিদাদার দলকে জয়ের কাছাকাছিই নিয়ে গিয়েছিলেন।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা ৪২ রান যোগ করেন ৫.৪ ওভারে। বিসমাহ মারুফ ৪১ বলে ৪২ রান করে আউট হওয়ার সময় পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৬ বলে ১৬ রানের। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। হাতে ৬ উইকেট। কিন্তু ১৯ নম্বার ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে আসে ৪ রান। ফলে শেষ ওভারে গিয়ে সমীকরণ দাঁড়ায় ৯ রানের। যেখানে পাকিস্তান সংগ্রহ করতে পারে ৭ রান। ইনোকা রানাবীরা ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন সুগন্ধিকা কুমারি ও কাভিশা দিলহারি। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইনোকা সামারাবীরা।
এমপি/এমএমএ/