দেশের হয়ে সাকিবের আরেকটি রেকর্ড
দলের ফলাফল যাই হোক সাকিব তার ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লা ভারি করে চলছেনই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের চলছে দুরবস্থা। এর মাঝে সাকিব আরেকটি মাইলস্টোন অতিক্রম করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে টপকে তিনি এখন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। আগের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে মুশফিকুর রহিমকে টপকে তিনি দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলোয়াড় বনে যান। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আজ ৭০ রানের ইনিংস খেলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের করা ২ হাজার ১২২ রান অতিক্রম করেন। ১০৩ ম্যাচ খেলে তার রান এখন ২ হাজার ১৩১। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরির মালিক তিনি আগেই হয়েছিলেন। আজকের এই হাফ সেঞ্চুরি ছিল তার ১১তম। এছাড়া বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি হলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তার উইকেট সংখ্যা ১২২টি।
ব্যক্তিগত এমন অর্জনের দিন বাংলাদেশ তিন জাতি আসরে প্রথমবারের মতো লড়াই করেছে হারার আগে হারেনি এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে সাকিব ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বলছিল মাত্র ৪৪টি। লিটন ও সৌম্য সরকারের ছোট করে ইনিংস খেললেও সেখানেও ছিল একটি মারমুখি মনোভাব। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ লড়াই করতে পারেনি। আজকের এমন লড়াকু মনোভাব পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে জেতার আশা মনে কোণে জেগে উঠেছে সাকিবের। আজ খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন আগামীকাল আমরা অবশ্যই ম্যাচ জেতার জন্য নামবো আজকে আমি প্রশস্ত সময় বলেছিলাম এই সিরিজ থেকে আমরা যদি একটি ম্যাচও জিততে পারি তাহলে আমাদের জন্য অনেক মোমেন্টাম তৈরি হবে, যেটা আমরা চাই। তাই কালকের ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিন জাতির এই আসরে বাংলাদেশের চাওয়া-পাওয়ার কিছুই ছিল না। মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়া। যে কারণে আজকের ম্যাচেও পরিবর্তন ছিল তিনটি প্রথমবারের মতো খেলতে নামা সৌম্য সরকার সাইফুদ্দিন ও এবাদত তিনজনই মোটামুটি সফল হয়েছেন। সাকিব তাই মনে করেন বিশ্বকাপের আগে একটি কম্বিনেশন তৈরি করার কাছাকাছি পর্যায়ে তারা পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় বিশ্বকাপের কম্বিনেশন থেকে খুব একটা দূরে নেই আমরা। দু একটি জায়গায় হয়তো পরিবর্তন করা হতে পারে। আবার এটাও সত্য আমাদের হাতে খুব বেশি বিকল্পও নেই। সবাইকে একটি করে ম্যাচ খেলছি এতে করে বিশ্বকাপের সেরা কম্বিনেশন কি হতে পারে তা বুঝতে পারি।
সিরিজে বাংলাদেশের খেলা তিনটি ম্যাচ নিয়ে সাকিব মোটামুটি একটা পোস্ট করেছেন। তার নিজস্ব বিশ্লেষণ হলো, 'তিনটি ম্যাচের দিকে যদি আমরা ফিরে তাকাই সেখানে একটি মিল খুঁজে পাওয়া যায় দশবার পর আমাদের উইকেট পড়েছে খুব দ্রুত। বলা যায় প্রতি দুই ওভারে একটি করে উইকেট পড়েছে। এটি আমাদের জন্য মোটেও ভালো কোন উদাহরণ নয়। এমন হলে মোমেন্টাম পাওয়া যায় না। তখন রান তাড়া বাদ দিয়ে ইনিংস গড়ার দিকে মন দিতে হয়।
এমপি/এএস