রান পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে বাংলাদেশের হিলারি হবেন কে
অনেক চেষ্টার পর ১৯৫৩ সালে এভারেস্টে চূড়ায় প্রথম ওঠাদের একজন হলেন এডমন হিলারি। কিন্তু ২০২২ সালে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশকে রানের চূড়ায় ওঠার যে টার্গেট দিয়েছে নিউজিল্যান্ড, সেখানে বাংলাদেশের এডমন হিলারি হবেন কে? টস হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রিত হয়ে নিউজিল্যান্ড তার পূর্ণ ফায়দা তুলে নেয় ৫ উইকেটে ২০৮ রান করে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাংলাদেশের এই ম্যাচেও চলেছে। আজ সেরা একাদশে আনা হয় তিনটি পরিবর্তন । মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদকে একাদশের বাইরে রেখে সুযোগ দেওয়া হয় সৌম্য সরকার, এবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে। এই তিনজনে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন ৯৯। উইকেট নিয়েছেন চারটি। বাকি ১০ ওভার করেন শরিফুল, সাকিব ও মোসাদ্দেক। তারা রান দেন ১০৫, উইকেট নেন ১টি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে ভয়াবহ ব্যর্থতা, তার কারণ ব্যাটসম্যানদের রান খরা। আগে কিংবা পরে ব্যাট করে তারা ১২০ ,১৩০, ১৪০ রানের ঘরেই ঘুরপাক খাচ্ছেন। সেখানে নিউজিল্যান্ড আজ ২০৮ রান করে বাংলাদেশকে ভয়াবহ বিপদের মুখেই ফেলে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেই রান তাড়া করতে নেমে নিজেরা কতদূর পর্যন্ত যেতে পারেন।
নিউজিল্যান্ডের বড় ইনিংস গড়ায় ওপেনার ডেভন কনওয়ে ২৪ বলে তিন ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান যদি হয়ে থাকে তাহলে সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে গ্লেন ফিলিপসের ২৪ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে করা ৪০ বলে ৬০ রানের ইনিংস রকেট গতি সঞ্চার করে। এই ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কারণেই নিউজিল্যান্ড শেষ পাঁচ ওভারে ৬৫ রান যোগ করেন যার ৫৩ রানই আসে ফিলিপসের ব্যাট থেকে। এই ৫৩ রান করতে তিনি বল খেলেন মাত্র ১৮টি।
নিউজিল্যান্ডের সূচনাটা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার ফিন আ্যলেন ও ডেভন কনওয়ে। তারা মাত্র ৪.২ ওভারে ৪৫ রান যোগ করে। ফিন আ্যলেন ১৯ বলে ২ ছয় ও ৩ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে শরিফুলের বলে ইয়াসির আলীর হাতে ধরা পড়ে বিদায় নিলেও কনওয়ে রানের গতি বাড়িয়ে নিতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কনওয়ে মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে ৯ ওভারে যোগ করেন ৮২ রান। গাপটিল ২৭ বলে ৩৪ রান করে এবাদতের শিকার হন নাজমুল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এই আসরে দারুন ফর্মে থাকা কনওয়ে ৩০ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। আবার এটি ছিল এই আসরে তার দ্বিতীয় ফিফটি। ৪০ বলে ৬৪ রান করে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে নাজমুল হোসেন এর হাতে ধরা পড়ে কনওয়ে বিদায় নেয়ার পরপরই মার্ক চাপম্যানকেও একই ওভারে আউট করেন সাইফুদ্দিন বোল্ড করে। শুরু হয় গ্লেন ফিলিপসের খেলা। যেখানে তিনি বেসামাল করে তুলেন বাংলাদেশের বোলারদের। যে সাইফুদ্দিন এক ওভারে নিয়েছিলেন ২ উইকেট তার পরের ওভারে সাইফুদ্দিনকে পেয়ে ফিলিপস তুলে নেন ১৭ রান । বাংলাদেশের বোলাররা এদিন ৩৭টি ডট বল দেন। সাইফুদ্দিন ৩৭ রানে ও এবাদত ৪০ রানে নেন ২টি করে উইকেট। শরিফুলের ১ উইকেট আসে ৪১ রানের খরচায়।
এমপি/আরএ/