বোলারদের দাপটে ২ দিনেই শেষ মিরপুরের ম্যাচ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যর্থতার আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুরবস্থা ছিল টেস্ট ক্রিকেটে। তাই বলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল নিজেদের অবস্থানের উন্নতি করতে পারেনি।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ কেন পারে না তার একটি প্রদর্শনী যেন হয়ে গেল ২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ঢাকা ও রংপুরের ম্যাচে। চারদিনের ম্যাচ মাত্র দুই দিনেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। যেখানে ঢাকা জয় পেয়েছে ইনিংস ও ৬২ রানে।
রংপুর দুই ইনিংসেই শতরানের গণ্ডি পার হতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ৯২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ৫৬ রানে। ঢাকা প্রথম ইনিংসে করে ২১০ রান।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ছিল পেসারদের দাপট। দুই দিনে দুই দলের উইকেট পড়েছে ৩০টি। রংপুরের ২০টি, ঢাকার ১০টি। প্রথম দিন উইকেট পড়েছিল ১৫টি। দ্বিতীয় দিনও তাই। ঢাকার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সুমন খান। তার জবাব দিয়েছিলেন রংপুরের মুশফিক হাসান ৫ উইকেট নিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ত্রাস ছড়ান সুমন খান ৪ উইকেট নিয়ে। ৪ উইকেট নিয়ে তার সঙ্গে তাল মেলান সালাহউদ্দিন শাকিল। যৌথ এ আক্রমণে রংপুরের দ্বিতীয় ইনিংস তাই ২৬.১ ওভারে ৫৬ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে তারা খেলেছিল ৩৬.২ ওভার। ঢাকা প্রথম ইনিংসে খেলেছিল ৭৩.১ ওভার।
বোলারদের দাপটে ভরা ম্যাচে ঢাকাকে রক্ষা করেন নাদিফ চৌধুরী ৯০ রানের ইনিংস খেলে। তার ১৪১ বলের ইনিংসে ছিল ৩ ছক্কা ও ১০ চার। অধিনায়ক তাইবুর রহমান করেন ৪২ রান। মুশফিক হাসান ৪৮ রানে নেন ৫ উইকেট। রবিউল হক ৩ উইকেট নেন ৪২ রানে।
১১৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রংপুর প্রথম ইনিংসের চেয়ে ভালো শুরু করেছিল। একপর্যায়ে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৩০। ১০ রানে ওপেনার জাহিদ জাভেদ ৪ রান করে ফিরে যাওয়ার পর মায়শাকুর রহমান ও তানভীর হায়দার ২০ রান যোগ করেন। দলীয় ৩০ রানে তানভীর হায়দার ৯ রানে ফিরে যাওয়ার পর শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। এই মিছিল পরবর্তীতে আর কারও পক্ষে রোধ করা সম্ভব হয়নি। ২৬ রানে পড়ে বাকি ৯ উইকেট। একমাত্র মায়শাকুর রহমানই দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন (১২)। সুমন খান ও সালাহউদ্দিন শাকিল মিলে ধস নামিয়ে দেন রংপুরের ইনিংসের। দু'জনেই ১৬ রান করে দিয়ে ৪টি করে উইকেট নেন। দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সুমন খান।
এমপি/এসজি