ভারতের কাছে থাইল্যান্ডের হারে উপকৃত বাংলাদেশ
বৃষ্টি আইনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২ বলে ১০ উইকেটে ৪১ রান করতে না পেরে ৩ রানে ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ দল সেমিতে যাওয়ার রাস্তা কঠিন করে তুলেছিল। শঙ্কা ছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে থাইল্যান্ড যদি কোনো অঘটন ঘটায় কিংবা বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়ে যায়। তাহলে কপাল পুড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের। সেমিতে যাওয়ার আগেই নেবে বিদায়।
কিন্তু বাংলাদেশকে অতো টেনশনে রাখেনি ভারত। থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ভারত দূর করেছে বাংলাদেশের সেই টেনশন। আগামীকাল মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারাতে পারলেই চতুর্থ দল হিসেবে সেমিতে উঠে যাবে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানকে হারিয়ে আসরে চমক দেখানো থাইল্যান্ড ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। যে কারণে ৪০ ওভারের খেলার আয়ু নেমে আসে ২১.১ ওভারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়া ১৫.১ ওভারে মাত্র ৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারত সেই রান অতিক্রম করে মাত্র ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষ স্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। থাইল্যান্ডের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৬। তারা আছে চারে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে থাই মেয়েরা যে রকম উজ্জীবিত নৈপুণ্য দেখিয়েছিল ভারতের বিপক্ষে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর তারা শুরুতেই বিপদে পড়ে। তবে ৩৭ রানে অলআউট হওয়ার আগে তাদের রান ছিল এক পর্যায়ে ১ উইকেটে ২০ রান। এরপর নিয়মিত উইটে পড়তে থাকে। নান্নাপাট কনচরোয়েঙ্কাই একমাত্র দুই অংকের রান করেন ১২। স্নেহ রানা ১২ রানে নেন ৩ উইকেট। রাজেশ্বরি গায়কোয়াড় ৮ ও দিপ্তি শর্মা ১০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে ভারত মাত্র ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে। সাববিহিনেনি মেঘানা অপরাজিত ২০ ও ভাসট্রাকারু অপরাজি ১২ রান করেন। থাইল্যান্ডের বোচাথাম ১৫ রানে নেন ১ উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্নেহ রানা।
এমপি/আরএ/