শেখাটা কবে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হারটা এখন বাংলাদেশের নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছে। একটি করে ম্যাচ হারছে। হারের পর নানা কারণের অবতারণা করা হয়। তারপর সান্ত্বনার বুলি আওড়ানো হয় ভুলগুলো নিয়ে কাজ করার কথা বলে। কিন্তু সেই কাজ আর করা হয়ে উঠে না। করা হয় না বললে একেবারে ভুল বলা হবে। করা হয়। এক ম্যাচ শেষে আরেক ম্যাচে গিয়ে। মাঝে অনুশীলনে খুব একটা কাজ করা হয় না।
এই যেমন এশিয়া কাপের কথা বলা যায়। সেখানে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি। বের হয়ে এসেছে অগণিত ভুল। কিন্তু এশিয়া কাপ শেষে হয়নি কোনো অনুশীলন। অধিনায়ক ছুটিতে। নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছুটিতে। পরে পুরো টিমকেই দেওয়া হয় ছুটি। মাঝে হঠাৎ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি ম্যাচ খেলার আয়োজন করা হয়। এই ম্যাচ খেলার জন্যও দেশে কোনো অনুশীলন করা হয়নি। পরে ম্যাচ খেলা হলেও সেখানে ছিলেন না অধিনায়ক ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর।
এরপর সোজা নিউ জিল্যান্ড। সেখানে গিয়ে সিরিজ শুরুর আগে কয়েকদিন অনুশীলন। তারপর মাঠে নেমে পড়া। যথারীতি বের হচ্ছে ভুল। যথারীতি ভুল সংশোধনের আশ্বাসের বাণী। কিন্তু সেই কাজটা করা হবে কখন? নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারের পর যেমন প্রথমবারের মতো তিন জাতির আসরে খেলতে নামা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নজরে এসেছে অনেক ভুল। এসব ভুল নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সাতে নেমে ইয়াসির আলী খেলেছিলেন ২১ বলে ৪২ রানের মারমুখী অপরাজিত ইনিংস। এই ম্যাচে সাতে নেমে নুরুল হাসান সোহান খেলেন একইভাবে ১২ বলে ২৫ রানের অপরাজিত মারমুখী ইনিংস। কিন্তু টপ অর্ডারের কেউ এমন ইনিংস খেলতে পারছেন না।
এ নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, এ সব নিয়ে আমরা কথা বলেছি অনেক। আমাদের টপ অর্ডারের তিন থেকে যেকোনো একজনকে ১৫ অথবা ১৬ ওভার পর্যন্ত ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সেটা কেউ করতে পারছেন না। আমাদের আরও দুটি ম্যাচ আছে। আমরা সেই দুটি ম্যাচে চেষ্টা করব এ নিয়ে। গত দুই ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। ফিল্ডাররাও ভালো করেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে। এ নিয়ে কাজ করা আছে।
সাকিবের ভাষায় কাজটা করবেন তিনি ম্যাচ খেলেই? কিন্তু এভাবে ম্যাচকে কি ভুল সংশোধনের কারখানা বানিয়ে আদৌ উন্নতি করা সম্ভব?
এমপি/এসজি