বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এশিয়া কাপে অনিয়ম ও ভুলে ভরা সাংবাদিকদের কার্ড

সিলেটে চলছে ৮ম নারী এশিয়া কাপ। গত ১ অক্টোবর থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয় এবারের আসর। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ এবারের আসরে অংশ নিয়েছে ৭টি দল। গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে গুরুত্ব নেই দায়িত্বশীলদের।

সিলেটে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে গ্যালারিতে ক্রিকেটপ্রেমীদের ঠাঁই দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু এবার টিকিটবিহীন প্রবেশাধিকার থাকলেও আসরের শুরু থেকে বলতে গেলে ফাঁকা গ্যালারি। আয়োজকদের প্রচারণার অভাবে দর্শকরা মাঠমুখী হননি বলে রয়েছে অভিযোগ।

এদিকে আসর শুরুর পর থেকেই একের পর এক সমালোচনা হচ্ছে নারী এশিয়া কাপ নিয়ে। মাঠ থেকে প্রেসবক্স এমনকি সাংবাদিকদের খাবারের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মাঠের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ এ কে এম মাহমুদ ইমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাড়ার মাঠেও এর চেয়ে ভালো পিচ থাকে। আর স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারে ময়লার ভাগাড় ও অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধারাভাষ্যকাররা।

এ ছাড়া মাঠের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ এ কে এম মাহমুদ ইমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাড়ার মাঠেও এর চেয়ে ভালো পিচ থাকে। এরপর উইকেটের অবস্থা যাচাই করতে চট্টগ্রাম থেকে আনা হয় পিচ কিউরেটর। এমনকি স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারে ময়লার ভাগাড় দেখে এবং অপরিচ্ছন্নতা দেখে ধারাভাষ্যকাররাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাথরুম ও বেসিনের পানির কল ছিল নষ্ট। পরে সাংবাদিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব ঠিক করা হয়।

এবারের এশিয়া কাপে আম্পায়ার ও সাংবাদিকদের খাবার নিয়েও উঠেছে অভিযোগ। নামে বুফে খাবার হলেও পরিবেশন করা হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। খেলার সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত রয়েছেন অনেক সাংবাদিক। কিন্তু খালি নেই প্রেসবক্স। যথাযথ নিয়মে আবেদন করেও এক্রিডিটেশন কার্ড পাননি টেলিভিশন সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসন, নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মীরা। অথচ এক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু হয়েছে অনিবন্ধিত একাধিক নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের নামে। শুধু তাই-ই নয় একজনের নামের জায়গায় এসেছে অন্যজনের নাম। কর্মকর্তাদের এমন খামখেয়ালিপনা ও দায়িত্বহীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেটের মূল ধারার সংবাদকর্মীরা।

ঢাকাপোস্টের সিলেট প্রতিনিধি মাসুদ আহমদ রনির ছবি সম্বলিত কার্ড ইস্যু হয়েছে ‘সাগর রায়’ নামে। ছবি ঠিক থাকলেও কর্মরত পোর্টাল দেখানো হয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজ চেম্বার।’ একই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীর নামে ডাবল কার্ড ইস্যু হয়েছে।

একইভাবে নিউনেশন পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি শফি আহমদকে দেখানো হয়েছে ডিবিসি নিউজ-এর সংবাদকর্মী। নিউজ ওয়ার্ল্ড নামের আরও একটি অনলাইনের নামে এক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু হয়েছে। ওই এক্রিডিটেশন কার্ড বাহকের নাম আলমগীর হোসেন। যিনি পেশায় একজন ফুল বিক্রেতা।

এর বাইরেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের দেওয়া হয়েছে এক্রিডিটেশন কার্ড। যারা নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেন না। অথচ এমনটি হবার কথা নয়। প্রতিবার আন্তর্জাতিক ম্যাচেও অন্তত স্থানীয়, জাতীয়, অনলাইন, টেলিভিশন মিডিয়া, ক্যামেরাপারসন ও ফটো জার্নালিস্ট মিলিয়ে শতাধিক কার্ড ইস্যু হয়। কিন্তু এবার সিটিএসবি’র তদন্তের দোহাই দিয়ে এক্রিডিটেশন কার্ড সীমিত রাখা হয়। এ নিয়ে কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা গোয়েন্দা সংস্থার দোহাই দেন। 

প্রেসকার্ড ইস্যুর বিষয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্থানীয় মিডিয়া ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশি বলেন, প্রেসকার্ড ইস্যু করার সময় কে নিবন্ধিত এবং কে অনিবন্ধিত পোর্টালে কাজ করেন, তা বিবেচনা করার সময় নেই।

একজন ফুল বিক্রেতার নামে কীভাবে কার্ড ইস্যু হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত বড় আসরে কিছুটা ভুল থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

ঢাকাপোস্টের প্রতিনিধি’র নাম মাসুদ আহমদ রনি থেকে ‘সাগর রায়’(কার্ড নং-১১৬১) হয়ে গেল কীভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন, আপনার কার্ড কার কাছে জমা দিয়েছিলেন? আপনি পরবর্তীতে কার্ড জমা দিলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়ে যাবেন।

এসময় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্র্যাউন্ড ম্যানেজার জয়দ্বীপ দাসের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, জয়দ্বীপকে কেন? আপনার যা বলার আমাকে বলেন। আমিই বিষয়টি দেখি। জয়দ্বীপ এখানে কী করবে?

তাহলে বিসিবির দায়িত্বশীল কার কাছে এর জবাব পাওয়া যাবে জানতে চাইলে ফরহাদ কোরেশি রাবিদ ইমাম নামের এক কর্মকর্তার নাম বলেন। তবে রাবিদ ইমামের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি জানান, রাবিদ ইমাম এখন নিউজিল্যান্ডে আছেন।

এদিকে খাবার নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে একাধিক সাংবাদিক বলেন, একটি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে সাংবাদিকদের জন্য ফুটপাতের খাবার রাখা হয়েছে। নিম্নমানের খাবার দিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে বুফে সিস্টেম। কর্মচারীদের দিয়ে এই খাবার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তা ছাড়া মিডিয়া বক্সে অবাঞ্ছিত লোকদেরও কার্ডের বিপরীতে খাবার খেতে দেখা যায়।

/এসজি/এএস

Header Ad

স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে।

গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে তাকে স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে বাবুল আক্তার কারাগারে রয়েছেন।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে টাইগারপাস এলাকা ছাত্র-জনতার স্লোগানে উত্তাল রয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা জানান তারা মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাট এলাকায় যাবেন।

এর আগে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের সহায়তায় ইসকন গত ১৬ বছর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে। এখন জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ভারতের বুবু, ভারতের হাসিনা এই বাংলাদেশে তোমার আর ঠাঁই হবে না। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হয়, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব। আমাদের দেশে সব ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করবে, সেসব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।

সারজিস আলম বলেন, যে রক্তের বন্যা বসিয়ে শেখ হাসিনা এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশ এসেছে, সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই চিন্ময়রা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনারা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জঙ্গি ইসকনরা উসকানি দেয়। সেই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেত্মারা উসকানি দেয়। আমরা স্পষ্ট করে সব প্রেত্মাদের বলে দিতে চাই, আমরা ১৬ বছরের স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি এবং ছোটোখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা তো আমাদের জন্য হাতের ময়লা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই প্রশাসনের যেসব জায়গায় স্বৈরাচারের দোসরেরা বিরাজমান তাদের সমূলে নির্মূল করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না। ভারতীয় কোনো আগ্রাসন বাংলাদেশে চলবে না। ভারতীয় কোনো দাদাগিরি বাংলাদেশে চলবে না। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে এক-ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু যদি কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশের ছাত্রজনতা তাদের প্রতিহত করতে একবারও ভাববো না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অপর সংগঠক উমামা ফাতেমা বলেন, ইসকনের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দেশকে যারা অকার্যকর করার প্রচেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার প্রথম জানাজা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা বেলা ১২টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের জনসাধারণের ঢল নামে।

২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুর পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

Header Ad

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল