আবারও হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ
তিন জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছেও হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে করে ১৩৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ২ উইকেট হারিয়ে ১৭.৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। নিউজিল্যান্ড ব্যাটার কনওয়ে একাই করেন ৭০ রান।
হারের পাশাপাশি বাজে খেলার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না বাংলাদেশ। এবার তারা নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ৮ উইকেটে। তিন জাতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আসরে টস হেরে ব্যাক করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে করেছিল ১৩৭ রান। জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ড সেই রান অতিক্রম করে ১৭.৫ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে। জয় সূচক রান আসে শরিফুলের বলে গ্লেন ফ্লিপের ছক্কায়। তার আগের বলেও তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের মতো দলের সামনে যদি ১৩৭ রানের পুঁজি দেওয়া হয়, তাহলে সে রান করে কি জয় আশা করা যায়? আর সেই রকম রানকে আটকে রাখার মতো বোলিং কী বাংলাদেশ দলের আছে? এটা যেন অবধারিত কিংবা অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশ ১২০ থেকে ১৫০ রানের মাঝে সংগ্রহ দাড় করাবে।
তারপর সেই রান অতিক্রম করতে নেমে প্রতিপক্ষ তেমন কোনো বাধার সম্মুখীন হয় না এবার যেমন হয়নি নিউজিল্যান্ড । ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৫১ বলে এক ছক্কা ও সাত বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৭০ রান করে দলকে সহজ জয় এনে দেন।
টার্গেট বড় না হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন আ্যলেন ও ডেভন কনওয়ে রান করার খুব একটা তাড়া দেখাননি। যে কারণে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তাদের রান আসে ফিনের উইকেট হারিয়ে ৪০। শরিফুলের বলে উইকেটের পিছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ফিন ১৬ রান করে। তার ১৮ বলের ইনিংসে ছিল একটি করে চার ও ছক্কা। অধিনায়ক উইলিয়ামসন এসে দুটি বাধার পর দ্বিতীয় উইকেট ছুটিতে ১১ ওভারে যোগ হয় ৮৭ রান। উইলিয়ামসন ২৯ বলে ৩০ রান করে হাসান মাহমুদের বলে তাসকিনের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি আউট হওয়ার পর গ্ল্যান ফিলিপ এসে জুটি বাঁধেন ওপেনার ফিন আ্যলেনের সঙ্গে। এই দুই ব্যাটসম্যান আর কোনো উইকেটের পতন হতে না দিয়ে দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন। এ সময় নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ১৫ ওভারে দুই উইকেটে ১০৯। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩০ বললে ২৯ রানের। কিন্তু তারা ১৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষে পৌঁছে যায়। আর সেটি সম্ভব হয়েছিল গ্ল্যান ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। তিনি মাত্র নয় বলে দুটি করে চার ও ছক্কা মেরে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। কনওয়ে ৩৬ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি ।
হাসান মাহমুদ ২৬ ও শরিফুল ৩৯ রানে নেন একটি করে উইকেট। চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে দুইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিচেল
ব্রেসওয়েল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে, এমনকি ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন এনে অবস্থার কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন জুটি মাত্র ১২ রান করে।
মিরাজ একবার জীবন পেয়ে প্রাণ করে আউট হন লিটন ও শূন্য রানের জীবন পেয়ে করেন ১৫ রান। দলে আবার ফিরে এসে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৩ রান।
ইয়াসির আলীকে এক ধাপ উপরে পাঠালেও তিনি সফল হতে পারেননি। ৭ রান করে আউট হয়ে যান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আবার দলে ফিরে ব্যাট করতে নামেন সাত। রান করেন ১৬। শেষের দিকে নুরুল হাসান সোহান ১২ বলে দুই ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস খেললে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৭ পর্যন্ত যায়।
এমপি/আরএ/এমএমএ/