ব্যাটিং ব্যর্থতার চক্করেই আটকা বাংলাদেশ
কদাচিৎ ব্যতিক্রম ছাড়া সেই ১২০, ১৩০, ১৪০ রানের ঘরেই আটকা পড়ে আছে বাংলাদেশ। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন জাতির টি-টোয়েন্টি আসরেও বাংলাদেশ সেই চক্করের মধ্যেই আছে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে করেছে ১৩৭ । আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৮ উইকেটে ১৪৬ রান।
আগে কিংবা পরে যখনই ব্যাটিং করুক না কেন বাংলাদেশ দল যেন ১২০, ১৩০, ১৪০ রানের ঘরেই আটকা পড়ে আছে। সামর্থ্য যেন এখানেই সীমাবদ্ধ। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার জন্য উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন, ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করেও কোনো ফায়দা হচ্ছে না ।
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ছুটিতে পরিবর্তন আনা হয়। পরিবর্তন ছিল ব্যাটিং অর্ডারেও। তারপরও সংগ্রহ সেই নিজস্ব সামর্থ্যের মধ্যেই। সংগ্রহ ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৭ রান। ১২০ বলের মধ্যে ৫০ বলেই তারা কোনো রান নিতে পারেননি। শ্রীধরন শ্রীরামের নতুন দর্শন ইনটেন্ট আর ইম্প্যাক্টর এর প্রভাব ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখা যায়নি। সবাই মারার জন্য আগ্রাসী হয়েছিলেন ।কিন্তু সফল হতে পারেননি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান যেখানে ৩৩, সেখানে ইনটেন্ট আর ইম্প্যাক্টের প্রভাব কি হতে পারে? টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের মাত্র তিনজনের স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০ এর উপরে।
আজ উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনা হয় সাব্বির রহমানকে বাদ দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তকে পাঠানো হয়। কিন্তু ফলাফল একই। উদ্বোধনী জুটি ব্যর্থ মিরাজ পাঁচ বলে পাঁচ রান করে আউট হয়ে যান। এই পাঁচ রান করার পথে ব্যক্তিগত এক রানে তিনি আবার জীবনও পেয়েছিলেন। সেই জীবনকে তিনি কাজে লাগাতে পারেননি পরে। তবে এখানে সফল ছিলেন বলা যায় নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে। ২৯ বলে ৩৩ রান— বলের হিসাবে একজন ওপেনারের ব্যাট থেকে আসা এইরান খুব বেশি নয়, কিন্তু দলের সামগ্রিক চিত্র বিবেচনা করলে তার এই রান অনেক ভালো।
মিরাজের মত জীবন পেয়েছিলেন লিটন দাসও শূন্য রানে। কিন্তু তিনিও ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। ১৬ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। আসিফ খেললেন ২৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস। দ্রুতই ফিরে যান মোসাদ্দেক ২, ইয়াসির আলী ৭ রান করে। দ্রুত এরকম উইকেট পড়ার কারণে নাজমুল হোসেন, লিটন দাস ও অফিফের ছোট ছোট সংগ্রহে বাংলাদেশের ইনিংসে যে মন্দের ভাল ছিল, সেটাও ঢাকা পড়ে যায়। অধিনায়ক সাকিব ব্যাট করতে নামে করেন ১৬ বলে ১৬ রান। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৭ উইকেটে ১৮ ওভারে ১১০ রান। শেষ দুই ওভারে ২৭ রান আসে মূলত নুরুল হাসান সুহানের ১২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংসের কারণে। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, মিচেল ব্রেসওয়েল ও সুধী দুটি করে উইকেট নেন। সুধী নাজমুল হোসেন শান্তকে আউট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেটে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন টিম সাউদি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১২২ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
এমপি/আরএ/