নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের পথে পাকিস্তান
নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসরে ফাইনালের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ২১ রানে। আর আজ শনিবার ক্রাইস্টচার্চে নিউ জিল্যান্ড টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ১০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে। অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের কাপ্তান বাবর আজম।
নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও তার সিদ্ধান্তের পথে কাঁটা বিছিয়ে দেন পাকিস্তানের বোলাররা। উইকেটের মড়ক না লাগলেও দ্রুত গতিতে রান করতে পারেননি তারা। দলীয় ১৬ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ওপেনার ফিন অ্যালেন ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করেন ৫২ বলে। দু'জনেই ফিরে যান ৯ রানের ব্যবধানে। ফলে রান বাড়ানোর সময়ই দু'জন ফিরে যান। ডেভন ৩৫ বলে ৩৬ ও কেন উইলিয়ামসন ৩০ বলে ৩১ রান করে দু'জনই মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে আউট হন। এসময় ১৩ ওভারে তাদের রান ছিল ৮৮। বাকি ৭ ওভারে তারা ৫৯ রান যোগ করে। যেখানে মূল ভূমিকা ছিল মার্ক চাপম্যানের। তিনি ১৬ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩২ রান করেন। এসময় একদিকে নিউ জিল্যান্ডের উইকেট পড়েছে অন্যদিকে মার্ক চ্যাপম্যান মারমুখী ব্যাটিং করে গেছেন। হারিস রউফ ২৮ রানে ৩টি এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম ২০ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ ৪৪ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুতেই বিপদে পড়েছিল ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ওয়ান ডাউনে নামা শান মাসুদকে হারিয়ে। রিজওয়ান সাউদির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ৪ রান করে। শান মাসুদ কোনো রান না করেই টিকনারের বলে উইকেটের পেছনে কনওয়ের হাতে ধরা পড়েন। শান মাসুদ আউট হওয়ার সময় পাকিস্তানের রান ছিল ৫.২ ওভারে ২ উইকেটে ৩৭। এরপর পাকিস্তানকে পথ দেখান ফর্মের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা অধিনায়ক বাবর আজম। মাত্র ৫৩ বলে ১১ চারে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ী করানোর পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতে নেন।
বাবর আজম তৃতীয় উইকেট জুটিতে শাদাব খানকে নিয়ে ৭ ওভারে ৬১ রান যোগ করে দলের জয়ের পথ সৃষ্টি করে দেন। শাদাব খান ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ২২ বলে ৩৪ রান করে টিকনারের বলে সাউদির হাতে ধরা পড়েন। জয়ের বাকি কাজ সাড়েন বাবর আজম মোহাম্মদ নেওয়াজ ও হায়দার আলীকে নিয়ে। মোহাম্মদ নেওয়াজের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২৬ রান যোগ করেন ৪.৪ ওভারে। নেওয়াজ ১৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যাওয়ার পর হায়দার আলীকে নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সাড়েন। হায়দার আলী জুটি বাঁধার সময় পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ ওভারে ২৪ রানের। হায়দার আলী প্রথম ২ বলে ১টি করে চার ও ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। আর জয়সূচক রান আসে বাবর আজমের ব্যাট থেকে বাউন্ডারিতে। টিকনার ৪২ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন বোল্ট ও সাউদি।
এমপি/এসজি