বাংলাদেশকে ১৬৮ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে অধিনায়ক সাকিব শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু লম্বা ভ্রমণের কারণে তাকে নামানোর সাহস দেখায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তাকে ছাড়া খেলতে নেমে বাংলাদেশের সামনে পাকিস্তান টার্গেট দিয়েছে ১৬৮ রানের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান করে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান।
তাসকিন চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ২টি। নাসুমও ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন একটি। মেহেদী হাসান মিরাজ দুই ওভারে ১২ রান দিয়ে উইকেট নেন একটি। তাহলে পাকিস্তানের বাকি ১০৮ রান দিলেন কারা?
এখানে সবার আগে নাম আসবে মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি ৪ ওভারে সবচেয়ে বেশি ৪৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি। এরপর নাম আসবে হাসান মাহমুদের। তিনি ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে অবশ্য উইকেট নেন ১টি। বাকি দুই ওভারে করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি ১৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি। এই তিনজন যদি রান দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃপণতা দেখাতে পারতেন ,তাহলে পাকিস্তানের সংগ্রহ আরও অনেক কম হতে পারত। ৪ ওভার করে বোলিং করে তাসকিন ১৩টি মাসুম ১১টি ডট বল দিয়েছেন। এমনকি মেহেদী হাসান মিরাজ ২ ওভারে ডট বল দিয়েছেন ৫টি, সেখানে বাকি তিনজনের ডট বল দেওয়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম। মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ দুজনেই ৬টি করে ডট বল দেন। মোসাদ্দেকের ডট বলের সংখ্যা ছিল ২টি।
পাকিস্তানের ইনিংস গড়ে উঠে মূলত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ওপেনার মোহাম্মদ রেজোয়ানের ব্যাটে ভর করে। তার ব্যাট থেকে আসে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি রান। ৫০ বলে ২ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল শান মাহমুদের ৩১। এ ছাড়া অধিনায়ক বাবর আজম করেন ২২ রান।
এদিন বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে। তাসকিন আহমেদের বলে হাসান মাহমুদের ধরা ক্যাচটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। নাসুমের ওভারে নিজের সীমানা আর বাইরে দিয়ে যাওয়া বল প্রথমে ধরলেও হাত ফসকে বের হয়ে গিয়েছিল এ সময় তার শরীরের ভারসাম্য ছিল না। কিন্তু এমন অবস্থায়ই হাসান মাহমুদ দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বলটি তালুবন্দি করেন। অপরটি ছিল তাসকিনের বলে ইয়াসির আলীর ধরা ক্যাচ। নিশ্চিত ছক্কা হতে যাওয়া বলটি তিনি সীমানায় দাঁড়িয়ে থেকে অসাধারণ দক্ষতায় ধরে নেন ।
এমপি/আরএ/