তরুণদের দিকে তাকিয়ে সিডন্স
আইসিসির যেকোনো আসরে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দল প্রস্তুতির জন্য ইদানিং প্রতিপক্ষ কোনো দেশ বা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী দল খুব একটা পাওয়া যায় না। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে পেয়েছিল উইন্ডিজকে।
আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোনো ট্রফি জিতেছিল। এবার অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বেশ ভালোই প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
এবারও খেলবে তিন জাতির আসর। কিন্তু প্রতিপক্ষ খুবই শক্তিশালী স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তান। কোচ জেমি সিডন্স মনে করেন এর চেয়ে ভালো প্রস্তুতি আমরা আশা করতে পারি না।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নিউ জিল্যান্ডে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে ভালো কিছু আমরা আর চাইতে পারতাম না। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা একটি দল হলো নিউ জিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানও শক্তির বিবেচনায় ওপর সারির দল। এমন দুইটি দলকে যদি আমরা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য আমাদরে প্রস্তুতিটা খুবই ভালো হবে। আমরা অনেক এগিয়ে থাকবো।
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের তিন জাতির আসর শুরু হবে ৭ অক্টোবর। সেখানে পৌঁছার পর বাংলাদেশ দল আজই প্রথম লিংকনে অনুশীলন করে। নিউ জিল্যান্ডে তিন জাতির আসর খেলে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাবে অস্ট্রেলিয়াতে। তাসমান পারের দুই দেশ। কন্ডিশন প্রায় একই রকম। তাই নিউ জিল্যান্ড থেকে যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের সেরা প্রস্তুতিটা নিতে চান সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে এখানে এসেছি। কন্ডিশন ঠাণ্ডা। এখানকার কন্ডিশন (নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) অনেকটাই একরকম। এখানকার সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো। লিংকনে ও ইনডোর সেন্টারে উইকেট খুব ভলো। সে জন্যই আমরা এখানে এসেছি অনুশীলনের জন্য।’ কেলা হবে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে। সিডন্স বলেন, হ্যাগলির উইকেট অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার মতোই । মৌসুমের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় উইকেট যেরকম থাকে, এখানেও প্রায় একইরকম।’
বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রস্তুতি হিসেবে নিউ জিল্যান্ড খেলছে তিন জাতির আসর। আবার এই আসরে আসার আগে প্রস্তুতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলেছে দুইটি ম্যাচ। দুইটি ম্যাচেই জয় পায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ দূর্বল হলেও এই জয় বাংলাদেশ দলকে ছন্দে ফিরতে সহায়তা করবে বলে জানান সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘দুবাইয়ে দুইটি ম্যাচ খেলার আগে আমরা কয়েকদিন অনুশীলন করেছি। ওখানকার সুযোগ সুবিধাও বেশ ভালো। এই জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে অনেক সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের এই দল অনেকটা তারুন্য নির্ভর। এই তরুণরা শক্তিশালী দুইটি দলের বিপক্ষে কেমন করে তা দেখতেও মুখিয়ে আছেন সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘এই দলটা বেশ তরুণ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কেউ কেউ অবসর নিয়েছে, কেউ সফরে নেই। আমি এই তরুণ দলটা নিয়ে অনেক রোমাঞ্চিত। তাদের অনেক কিছু শেখার আছে। শক্তিশালি দুটি দলের বিপক্ষে ওরা কেমন করে, তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’
এমপি/এমএমএ/