সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে: এবাদত
নিউ জিল্যান্ডে জয় পেতে বাংলাদেশের অপেক্ষাটা ছিল প্রায় দুই দশকের। এক বা দুই ম্যাচ তো নয়, সব ফরম্যাট মিলিয়ে একেবারে ৩৩ ম্যাচ। অবশেষে এমন একটা সময় টেস্টে জয় এসেছে, নিউ জিল্যান্ড যখন টেস্টের চ্যাম্পিয়ন।
তাতে নিউ জিল্যান্ডের টানা ১৭ ম্যাচ জেতার রেকর্ডটাও ভেঙে গেছে। এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে নায়ক হয়েছেন এবাদত হোসেন। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ এই জয়টা চেয়েছিল পরবর্তী প্রজন্মের সামনে উদাহরণ দাঁড় করানোর জন্যও।
এবাদত বলেন, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। দ্বিতীয়ত নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনো ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।’
বোলিং কোচ ওটিস গিবসন তাকে সমর্থন যুগিয়েছেন বরাবর। তাকেও ভুললেন না এবাদত। বললেন, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনো বাইরে কীভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে।’
একসময় ছিলেন ভলিবল খেলোয়াড়। সেখান থেকে নিউ জিল্যান্ডে ম্যাচ জেতার নায়ক। এ নিয়ে এবাদত বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য, জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। আর ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। বাংলাদেশ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করাও।’
এসএ/