বৃষ্টিও হারাতে পারেনি শ্রীলঙ্কাকে
বৃষ্টি এসে শ্রীলঙ্কার সর্বনাশই করে দিয়েছিল। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ৯ উইকেটে করা ১০৯ রানের জবাব দিতে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২০ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
পরে আবার যখন খেলা শুরু হয়, তখন আরব আমিরাতের সামনে নতুন করে টর্গেট দেওয়া হয় ১১ ওভারে ৬৫ রানের। আরব আমিরাত বৃষ্টির আগে ১ উইকেটে ৪ ওভারে ২০ রান করায়, তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৫ রানের। কিন্তু সেখানে তারা যোগ করে ৬ উইকেটে ৩৪ রান। ১১ ওভারে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৫৪ রান। ফলে হেরে যায় ১১ রানে। আরব্ আমিরাতের এটি ছিল প্রথম ম্যাচ।
শ্রীলঙ্কার ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে তারা ভারতের কাছে হেরেছিল ৪১ রানে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
আরব আমিরাতের বোলাদের তোপে পড়ে দলের মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছিলেন। ওপেনার হারসিথা সামারাবিক্রমা সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। এ ছাড়া নিলাখাসি ডি সিলভা ১৯ ও আনুষ্কা সানজিওয়ানি অপরাজিত ১৭ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার রান যে এত কম হবে তা কিন্তু তাদের শুরুতে ছিল না। ব্যাটিং প্ওায়ার প্লেতে রান আসে ১ উইকেটে ৩৫। এর আগে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলীয় ২৩ রানে। আউট হয়ে যান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ৬ রান করে। ওয়ান ডাউনে নামা হাসিনা পেরেরা ২ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে থাকা হারসিথা সামারাবিক্রমা ৪০ বলে ৪ চারে ৩৭ রান করে বিশনাভার শিকার হয়ে আউট হন। এরপর দলের রান সংগ্রহের হার ক্রমেই কমতে থাকে। নিলাখাসি ১৯ রান করলেও বল খেলেন ২৪টি।
আনুষ্কা ১৭ রান করতে বল খেলেন ২০টি। আরব আমিরাতের ভিনাভে মাহেশ ১৫ ও মাহিকা গৌর ২১ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। সামিরা ধারনিধারকা ১৮ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে আরব আমিরাত সূচনা ভালো ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫ বলে ১৫ রান আসে। জুটি ভাঙে এশা ওজা ৪ রান করে আউট হলে। এরপর ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২০ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আর শুরু হয়,তখন শুরু হয় তখন আরব আমিরাতের সামনে টার্গেট আরও ছটো হয়ে আসে।
অনেকটা হাতের নাগালেই। ১১ ওভারে করতে হবে ৬৫ রান। ৪ ওভারে ২০ রান আগেই করায় তাদের সামনে প্রয়োজন পড়ে ৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৫ রান। কিন্তু সেই রানও তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা উইকেট হারাতেই থাকে। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে তারা প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়।
কাভিষা ইগোগেজ ৮ বলে ৩ রান করে আউট হন। এই যে শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল, তা তারে কারো পক্ষেই রোধ করা সম্ভব হয়নি। থিরথা সাতিশ একমাত্র দুই অংকের রান করেন। তিনি ১৯ বরে ১৯ রান করে আউট হন।
শ্রীলঙ্কার কাভিষা দিলহারি ও ইনোকা রানাবিরা দুই জনেই ৭ রান করে দিয়ে ২টি করে উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ম্যাচ সেরা হন হারসিথা সামারাবিক্রমা।
এমপি/এমএমএ/