বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ব্যাটিং দেখেই বোঝা গিয়েছিল প্রথম ম্যাচে জড়তা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। ব্যাটসম্যানদের এই সাবলীলতা ছড়িয়ে পড়ে বোলারদের মাঝেও।
এই দুইয়ের মিশ্রনে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাত প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচে আর বাংলাদেশের বিপক্ষে জম্পেশ লড়াই করতে পারেনি। হার মেনেছে ৩২ রানে। বাংলাদেশের ৫ উইকেটে করা ১৬৯ রানের জবাব দিতে নেমে আরব আমিরাত ৫ উইকেটে করে ১৩৭ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জিতল ২-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ জিতেছিল হ্ড্ডাাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৭ রানে। চার সিরিজ পর যার তিনটিতেই বাংলাদেশ হেরেছিল, এরপর আবার সিরিজ জিতল। সর্বশেষ সিরিজ জিতেছিল ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর ৩-২ ব্যবধানে। বাংলাদেশের এটি ছিল ১০ম সিরিজ জয়।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। এই ম্যাচে পড়ে আারব আমিরাত। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান সংগ্রহ করে ২ উইকেটে মাত্র ২৮। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর পরের ওভারেই পরপর ২ উইকেট হারিয়ে তারা খুবই বিপদে পড়ে যায়। দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৯।
আরব আমিরাতকে এ রকম বিপদে ফেলে দেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। নাসুম আহমেদ প্রথম ওভারেই তুলে নেন উইকেট। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে আরেকটি উইকেট নেন তাসকিন। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শেষে মোসাদ্দেক বল হাতে পরপর ২ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন।
কিন্তু সে সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দেন বাসিল হামিদ। শুধু মোসাদ্দেককে হ্যাটট্রিক বঞ্চিতই করেননি, একইসঙ্গে দলের পতন রোধ করেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। সঙ্গে পেয়ে যান অধিনায়ক রিজওয়ানকে। প্রথম ম্যাচের মতো লড়াই করে জয়ের সম্ভবনা জাগানো সম্ভব নয়। অন্তত হারের ব্যবধান যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনা যায়-এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দুই জনে মিলে এগোতে থাকেন।
সেখানে তারা বেশ সফলও হন। নাসুম-মোসাদ্দেক-মিরাজ-সাব্বিরের স্পিন বোলিংয়ের পাশাপাশি এবাদত-তাসকিন-সাইফউদ্দিনের পেস সামলে বলে বলে রান করতে থাকেন। কখনো কখনো চড়াও হয়েছেন। এতে করে ওভারে রান এসেছে বেশ পেটমোটা হয়ে।
সাইফউদ্দিনের এক ওভারে ১২, এবাদতের এক ওভারে ১০,নাসুমের এক ওভারে ১৪ রানও আসে। এমনি করে খেলে পরে তারা পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১.৫ ওভার ৯০ রান যোগ করেন। বাসিল হামিদ ক্যারিয়ারের সেরা ৪০ রান করে এবাদতের বলে আফিফের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি। বাসিলের আগের ক্যারিয়ারের সেরা ছিল অপরাজিত ৩৯ রান।
অপরদিকে, অধিনায়ক রিজাওয়ানও ক্যারিয়ারের আগের সেরা ৪৯ রান টপকে পেয়ে যান প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখাও। ৩৫ বলে ২টি করে চার ও ছয় মেরে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। তার সঙ্গে তখন ৫ বরে ৮ রানে অপরাজিত জাফর ফরিদ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মোসাদ্দেক। তিনি ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া, তাসকিন ২২ রানে, এবাদত ২৪ ও নাসুম ৩৬ রান দিয়ে নেন ১টি করে উইকেট।
এমপি/এমএমএ/
