সিরিজ জয়ের ম্যাচে আরব আমিরাতকে ১৭০ রানের টার্গেট
আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ম্যাচে বাংলাদে প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১১ রান বেশি করেছে। প্রথম ম্যাচে করেছিল ১৫৮ রান। এই ম্যাচে ১৬৯ রান। উইকেট পড়েছে সমান ৫টিই।
দুবাই আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের সিরিজে সমতা আনার ম্যাচে প্রথম ম্যাচের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের বেশ কিছু সাদৃশ্য আছে। প্রথম ম্যাচের মতো এই মাচেও বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাট করতে নামে। এ দিন যদিও মড়ক লাগেনি, তবে উইকেট পড়েছে সমান ৫টি। প্রথম ম্যাচে প্রথম আউট হয়েছিরেন সাব্বির, এই ম্যাচেও তিনি আগে আউট হন। প্রথম ম্যাচে শেষ ৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে যোগ করেছিল ৫১ রান। এই ম্যাচে ১ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৪৩ রান। প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে প্রথম বলে বাউন্ডারি ও শেষ বলে ছক্কা এসেছিল। এই ম্যাচেও তাই। প্রথম ম্যাচে চার মেরেছিলেন আফিফ ছক্কা নুরুল হাসান সোহান। এই ম্যাচে চার ও ছয় দুইটি আসে নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে। প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে রান এসেছিল ১৩। এই ম্যাচে আসে ১৪।
প্রথম ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটনম্যানদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্য দেখা গেছে। ব্যাটিংয় পাওয়ার প্লেতে রান আসে ১ উইকেটে ৪৮। সাব্বিরের শুরুটা ছিল বেশ আক্রমণাত্বক। তবে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। ৯ বরে ১টি করে চার ও ছয় মেরে ১২ রান করে ফিরে যান। জুটিতে ৩.৪ ওভার রান আসে ২৭। মিরাজের সঙ্গে লিটন এসে যোগ দেয়ার পর রানর চাকা আরও সচল হয়ে উঠে। ৪.৪ ওভার রান যোগ হয় ৪১। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৫ রান করে ফিরে যান লিটন। আফিফ (১০ বলে ১৮) ও মোসাদ্দেক (২২ বলে ২৭) খুব বেশি সময় টিকতে না পারলেও রানের চাকা সচল রেখে যান। ইনিংসের সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার মিরাজের ব্যাট থেকে। তিনি ৩৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৭ রান করেন। ৩ ওভার বাকি থাকতে ক্রিজে আসেন নুরুর হাসান সোহান। ইয়াসির আলীর সঙ্গে জুটি বেঁধে যাগ করেন ৩২ রান। ইয়াসির আলী ১৩ বলে ১টি করে চার ও ছয় মেরে ২১ ও নুরুল হাসান সোহানও সমান চার ও ছয় মেরে ১০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আয়ান আফজাল খান ৩৩ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন সাবির আলী, আরিয়ান লারকা ও কার্তিক মিয়াপ্পান।
এমপি/এএস