নিউ জিল্যান্ডকে অল্প রানেই অলআউট করতে চান লিটন
নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে অনেক বাতাস। এই বাতাসের সুবিধা নিয়ে পেস বোলাররা অতিথি দলের ব্যাাটসম্যানদের ঘায়েল করে থাকেন। বেশি সমস্যা হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেলায়। এবার মাঠে নামার আগেও ছিল একই ভয়। কিন্তু মাঠে নেমে সেই ভয় উড়ে গেছে সেই বাতাসেই। শুরুটা করেন বোলাররা।
তাদের দেখিয়ে দেওয়া পথে হাঁটেন ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদুল হাসান জয়ের ধৈর্য্যশীল ব্যাাটিংয়ের পর লিটনের ঠান্ডা-গরমের মিশেলের সঙ্গে যোগ হয়েছিল মুমিনুল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিংও। দুইয়ে দুইয়ে যোগফল চারের মতো বাংলাদেশেরও ব্যাটে-বলে সমন্বয় ঘটাতে বাংলাদেশ এখন অসম্ভবক সম্ভব করার পথে। যে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে নেই কোনো জয়, সেখানে উঁকি দিচ্ছে জয়। দাঁড়িয়ে আছে হাত ছোঁয়া দূরত্বে।
নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে এবাদত মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে কোনো রান না দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচকে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের সীমনায় নিয়ে আসেন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে কথা বলেছেন লিটন দাস।
নিউ জিল্যান্ডকে অল্প রানে অলআউট করার পরিকল্পনার কথা জানালেন। কথা বলেছেন রিভিউয়ের অপব্যাবহার আর এবাদতের বোলিং নিয়েও। তার কথার উল্লেখযোগ্য অংশ ঢাকাপ্রকাশ-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: এবাদতের স্পেল সম্পর্কে ফিলিংস কী আপনার?
লিটন: এবাদত আজকে দুর্দান্ত ছিল। ওর দুটো স্পেলই চমৎকার ছিল। আমার মনে হয় সে একই জায়গায় বল করার কারনে অনেক হেল্প পেয়েছে। তার ব্রেক-থ্রো আমাদের দলকে অনেক বুস্ট আপ করেছে। এখন যে অবস্থায় আছি, আমরা ওভার এক্সাইটেড না, আমাদের এখনও পাঁচ উইকেট নিতে হবে। যত কম রান দেওয়া যায়, এই রানটা আমাদের চেজ করতে হবে।
প্রশ্ন: এবাদতের বোলিং এভারেজ অনেক হাই ছিল, সেটি নিয়ে দলের ভেতর কোন ফ্রাসট্রেশন ছিল কি না?
লিটন: দেখেন, আমি যখন প্রথম ক্রিকেট শুরু করেছিলাম, আমার পারফরম্যান্স কিন্তু ততটা ভাল ছিল না। ইনফ্যাক্ট বাংলাদেশে এখন যেই দলটা খেলছে, সবারই যে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো তা কিন্তু না। তাই প্লেয়ারদেরকে সুযোগ দিতে হবে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে আমরা যখন টেস্ট খেলি, কতদিন পরপর খেলি। সে একটা ফরম্যাটেই খেলে। সো এই জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে যে একটা পেস বোলারের জন্য সব সময় সব কিছু অনুকূলে থাকে না। হ্যাঁ, তার হয়ত এভারেজটা একটু বেশি। ইকোনোমি একটু বেশি ছিল। কিন্তু তার যে যোগ্যতা আছে, সে যে ভাল বোলার সেটি সে আজ প্রমাণ করেছে। সামনেও সে প্রমাণ করবে, এই বিষয়ে আমি বেশ আশাবাদী। ওর ম্যাচ ১১টা কি ১২টা। আমার মনে হয় টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে তার অভিজ্ঞতাটা আনতে, ক্রিকেটটাকে বুঝতে। তাই আমার মনে হয় ওই সময়টা তাকে দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের রিভিউ নেওয়া সর্ম্পকে কী বলবেন? আপনারা কি ওভার এক্সাইটেড ছিলেন?
লিটন: না আসলে ওভার এক্সাইটেড না, প্রথমটার কথাই বলি, আমি যখন রিভিউ নিলাম, আমি পেছনে ছিলাম, আমার মনে হয়েছে কনফার্ম আউট। কিন্তু নেওয়ার পর সেটি লস হল। দ্বিতীয়টা আমরা নেওয়ার পর সফল হয়েছিলাম। কনওয়ের উইকেট। ওটাতে কিন্তু সাদমান, মিরাজ,শান্ত রাব্বি, যতগুলা প্লেয়ার সামনে ছিল, তাদের কল ছিল। এটা হয় অনেক সময়, আপনি রিভিউতে সফল হবেন, কখনো হবেন না। পরেরটায় মিরাজ কনফিডেন্ট ছিল বিষয়টা নিয়ে। আমরা তাকে ব্যাক করেছি। কারণ, প্রতিটি খেলোয়াড়ের দায়িত্ব ফিডব্যাক নেওয়া। আমারা তো চাচ্ছিলাম একটা উইকেট পড়ুক। এই জন্যই আমরা চান্স নিয়েছি।
প্রশ্ন: আপনারা কেমন টার্গেট আশা করছেন?
লিটন: দেখেন কাল নতুন দিন। উইকেটটা অতটা সহজ হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। কারণ, যত দিন যাচ্ছে, উইকেটের কিছু না কিছু কাজ করছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত কমে তাদের অলআউট করে দেওয়া যায়, এবং সেই রানটা চেজ করা যায়। খুব একটা সহজ হবে আমাদের ইনিংসটা সেটিও কিন্তু না। আমাদের অনেক পরিশ্রম করে ব্যাটিং করতে হবে। আমরা অনেক কুল আছি। আমাদের জিততেই হবে এমন কথা নেই। আমরা একটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এতক্ষণ সেই প্রসেসটা ধরে রেখে সফল হয়েছি। সামনেও হব বলে আশা করছি।
এমপি/এমএমএ/