বাংলাদেশের মেয়েরাই চ্যাম্পিয়ন
গত দুই আসরের মতো এবারও বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। আজ রবিবার আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ খুব বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি। ৮ উইকেটে করে ১২০ রান। আয়ারল্যান্ড জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে করে ১১৩ রান। বাংলাদেশের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডও আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে। দুই দলই ফাইনালে উঠে বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছিল।
১২০ বলে ১২১ রান, খুব বেশি বড় টার্গেট নয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের জন্য বিপদের আভাসই ছিল।কিন্তু বোলারদের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত সেই রানই নিরাপদ হয়ে উঠে।
দুবাইতে বাংলাদেশ পুরুষ দল যেমন আরব আমিরাতের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল তেমনি আবুধাবিতে পড়েছিল মেয়েরা। পরে ছেলেদের মতো মেয়েরাও বাঁধা অতিক্রম করেছে। দুই দলই জিতেছে ৭ রানে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল ভয়াবহ। এক প্রান্তে ওপেনার ফারজানা হক আগলে রেখে দলকে টেনে নিয়ে যান। অন্যদের মতো তিনিও ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ত। দলের অধের্কেরও বেশি রান আসে তার ব্যাট থেকে ৫৫ বলে ৭ চারে তিনি করেন ৬১। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল রুমানা আহমেদের। তিনি ২০ বলে ২ চারে ২১ রান করেন। আর কোনও ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। আইরিশদের লুরা ডিলানি ২৭ রানে ৩টি, আরলিন কেলি ১৭ ও কারা মুরি ২১ রানে নেন ২টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের বোলারদের কল্যাণে আইরিশদের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। ২৪ রানে তারা ৩ উইকেট হারায়। এদিন সালমা শুরুতে আঘাত হানতে না পারলেও সানজিদা আক্তার মেঘলা আঘাত হানেন। নাহিদা আক্তারও উইকেট পাওয়ায় শামিল হন। এরপর সাময়িক বিরতি। অধিনায়ক লুরা ডিলানি (১২) ও আইমার রিচার্ডসন (১৮) জুটি বেধে এগুনোর চেষ্টা করেন। ২৩ রান যোগ করার পর দুজনকেই ফিরিয়ে দেন রুমানা। এই দুইজনের মাঝেঁ উইকেট পড়ে আরও দুইটি। ফলে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৫৮। এরপর ম্যাচ হয়ে পড়ে একপেশে। মেরি ওয়ালড্রন ১৯, আরলিন কেলি ২৮, কারা মুরি ১৩ রান করে অলআউট হওয়া ঠেকিয়ে শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়ে আনেন।
রুমানা ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। সানজিদা আক্তার মেঘলা ১৬, সোহেলি আক্তার ২০ ও নাহিদা আক্তার ৩১ রানে নেন ২ টি করে উইকেট
এমপি/এসআইএইচ