বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল আরব আমিরাত
না কোনও বিপদ হয়নি। অনেক বাঁধার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে, ঝড়ের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত বাঁধা পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে যেমন বড় ধরনের ঝাঁকি দিয়েছিল আরব আমিরাত, তেমনি আবার তাদের ইনিংসেরও শুরুতেও। সব ঝড় সামাল দিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ৭ রানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৫৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা করে ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৫১ রান। দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার।
দুবাই আন্তজাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর ব্যাটিং পাওয়ার প্লের আগেই ৪.৪ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র বিপদেই পড়েছিল বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে ১১ ওভারে ৫ উইকেটে রান ছিল ৭৭। দলকে সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছিলেন আফিফ ও নুরুল হাসান সোহান। দুজনে ষষ্ট উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৯ ওভারে ৮১ রান যোগ করেন। আফিফ ৫৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ক্যারিয়ার সেরা ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত থাকেন ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ২৫ বলে ৩৫ রান করে।
টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫৮ রান খুব বেশি পূঁজি না হলেও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় অনেক মজবুত সংগ্রহ। কিন্তু সেই মজবুত সংগ্রহকেও নড়বড় করে দিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে চেরাগ সুরি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে ১ উইকেটে ৪৩। ১৫ বলে ১৫ রান করে মোাহম্মদ ওয়াসিম রান আউট হয়ে গেলেও চিরাগ সুরি ছিলেন মারুমখি। তাকে সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। পঞ্চম বোলার হিসেবে ইনিংসেবর ৮ম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েই মিরাজ খেলায় ফিরিয়ে আনেন বাংলাদেশকে। প্রথম শিকারই করেন চিরাগ সুরিকে। মাত্র ২৪ বলে ৭ চারে তিনি ৩৯ রান করে নুরুল হাসানের হাতে স্ট্যাম্পিং হন। পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন আরেক আক্রমণাত্বক ব্যাটসম্যান আরিয়ান লার্কাকে। ১টি করে চার ও ছয় মেরে তিনি ১৫ বলে করেন ১৯ রান।
মিরাজের সাফল্য উজ্জীবিত হয়ে উঠেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু হয় স্বাগতিকদের ব্যাটিং বিপর্যয়। ১ উইকেটে ৬৬ রান থেকে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১০২। ৬.৪ ওভারে ৩৬ রানে নেই ৬ উইকেট। এরপর ম্যাচ তাদের হাতছাড়াই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আরিয়ান ফজল দাঁড়িয়ে গেলে আবার নাটকীয়তা ফিরে আসে। হাতছাড়া ম্যাচে নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। কার্তিক মিয়াপানকে নিয়ে তিনি ২২ রান যোগ করে নতুন করে অক্সিজেন সঞ্চয় করেন। মায়াপেন ৯ বলে ১২ রান করে মোস্তাফিজের শিকার হওয়ার পর জুনায়েদ সিদ্দিককে নিয়ে আরিয়ান আবার লড়াই শুরু করেন। জুটি বাঁধার সময় তাদের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেটে ১৮ বলে ৩৫ রান। ১৮ ওভার শেষে তা নেমে আসে ২১ রানে। শরিফুলের করা ৮ নাম্বার ওভারে রান আসে ১৪। মোহাম্মদ সাফিউদ্দিনের ওভারে আসে ১১ রান। ফলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১০ রানের। কিন্তু শরিফুলের ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে প্রথমে আরিয়ান, পরে জুনায়েদ আউট হলে লড়াই থেমে যায় স্বাগতিকদের। আরিয়ান ১৭ বলে ২৫ ও জুনায়েদ ৯ বলে ১১ রান করে আউট হন।শরিফুল ২১ ও মিরাজ ৩৩ রানে নেন ৩টি করে উইকটে। মোস্তাফিজ ২ উইকেট নেন ৩১ রানে।
এমপি/এসআইএইচ