বাংলাদেশের পূঁজি ১৫৮ রান
ফাইল ফটো
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্বল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও বাংলাদেশ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। কিন্তু আফিফ হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৭ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৫৮ রানের লড়াকু পূঁজি সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের করা ১৫৮ রানের জবাবে লড়াই করে যাচ্ছে আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১২৪ রান।
এর আগে দুবাই আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিল। জিতেছিল ৫১ রানে। শক্তিতে আরব আমিরাত অনেক দুর্বল। এবারের এশিয়া কাপে তারা বাছাই পর্বই পার হতে পারেনি। এমন একটি দলকে বিসিবি বেছে নিয়েছে বাংলাদেশর অনুশীলনের প্রতিপক্ষ হিসেবে। কারণ বাংলাদেশের সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু এমন একটি দলের বিপক্ষেও বাংলাদেশ ছিল নড়বড়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যেভাবে মড়ক লেগেছিল, তাতে করে ঈশান কোনে কালো মেঘই ভর করেছিল। শেষ পর্যন্ত সেই মেঘ কেটে গেছে চারে নামা আফিফ হোসেন ও সাতে নামা অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায়। ৭৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ৯ ওভারে এই দুইজন ৮১ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। আফিফ ৫৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ক্যারিয়ার সেরা ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত থাকেন ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ২৫ বলে ৩৫ রান করে।
এই খেলা দেখার জন্য স্বাগতিকরা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি যা ছিল তারা প্রায় সবাই প্রবাসী বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের হৃদকম্পন বেড়ে গিয়েছিল টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের আগেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ৪.৪ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে।
নিয়মিত ওপেনার লিটন দাস একাদশে ফেরার পরও এশিয়া কাপের নিজেদের শেষ ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানের সূচনায় মন ভরে যাওয়াতে তাদের দিয়েই উদ্বোধন করানো হয়। কিন্তু এবার দুজনেই হতাশ করেন। সাব্বির কোনও রান না করেই সাবির আলীর বলে বাসিল হামিদের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। ওয়ান ডাউনে নেমে লিটন দাস উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন। কিন্তু বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি। ৮ বলে ১৩ রান করে আয়ান আফজাল খানের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকির হাতে ধরা পড়েন। মিরাজ হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছিলেন শুরু থেকেই। কিন্তু সফল হতে পারেননি। ফরিদের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিলে বাংলাদেশ ভীষণ বিপদে পড়ে। সেই বিপদ আরও ঘনিভুত হয় ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ইয়াসির আলী মিয়াপানের বলে বোল্ড হয়ে ৭ বলে ৪ রান করে। অরবিন্দ মিয়াপানের বলেই মোসাদ্দেককে স্ট্যাম্পিং করেন।তখন ওভার শেষ হয়েঠেছ ১১টি। দলের রান ৫ উইকেটে ৭৭। এরপর হাল ধরেন আফিফ ও অধিনায়ক। দুই জনে দেখে-শুনে খেলে আর কোনও উইকেটের পতন হতে না দিয়ে দলের রানকে ১৫৮ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। শেষ ৫ ওভারে তারা যোগ করেন ৫৫ রান। দুইবার জীবন পেয়ে আফিফ খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ৭৭ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তিনি তুলে নেন ৩৮ বলে। কার্তিক মিয়াপান ৩৮ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ফরিদ, আয়ান ও সাবির।
এমপি/এসআইএইচ