নারী ফুটবলারদের লাগেজ অক্ষত ছিল: বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
বিমানবন্দর থেকে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের লাগেজ থেকে টাকা ও মালামাল খোয়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, নারী ফুটবলারদের লাগেজ থেকে কোনো কিছু বিমানবন্দর থেকে খোয়া যায়নি। চুরির অভিযোগ বিভ্রান্তিকর।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল গত ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৭২ নম্বর ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে দুপুর ১টা ৪২ মিনিতে ঢাকায় অবতরণ করে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বাফুফের প্রটোকল প্রতিনিধি মো. ইমরান মিডিয়া ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ফুটবল দলের দু'জন সদস্যের (হোল্ড ব্যাগেজ) থেকে অর্থ (ডলার ও টাকা) চুরির অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি।
নির্বাহী পরিচালকের পাঠানো চিঠিতে বিমান ল্যান্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ মেক-আপ এরিয়ার ট্রলির আগমন, ব্যাগেজ মেক-আপ এরিয়ার প্রথম লাগেজ ড্রপ, কনভেয়ার বেল্ট-৮ এর প্রথম লাগেজ ড্রপ এবং ব্যাগেজ মেক-আপ এরিয়ার শেষ ব্যাগেজ ড্রপের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করার কথা উল্লেখ করে বলা হয়। বাফুফে প্রটোকল প্রতিনিধি ও দুই টিম অফিসিয়াল কর্তৃক লাগেজ ট্যাগ চেক করে সম্পূর্ণ অক্ষত এবং তালাবদ্ধ অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাগেজগুলো বুঝে নেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের লাগেজ থেকে টাকা ও মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু-ঢাকা রুটের বিজি-৩৭২ ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর ফ্লাইটটির ব্যাগেজ ৮নং ব্যাগেজ বেল্টের মাধ্যমে ২টা ১০মিনিটে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে ডেলিভারি দেওয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়রা লাগেজগুলো সঠিক অবস্থায় বুঝে নেন। লাগেজগুলো বুঝে নেওয়ার সময় লাগেজ থেকে কোনো কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাফুফের প্রতিনিধিরা লাগেজগুলো দুটি কাভার্ডভ্যানে উত্তোলন করে এয়ারপোর্ট এরিয়া ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এয়ারপোর্টের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে বর্ণিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।
এনএইচবি/এসজি