কষ্টের ফসল জানালেন সাবিনা
বাফুফের পূর্বসূচি অনুযায়ী সাফ জীয় দলের সংবাদ সম্মেলনে রাখা হয়েছিল হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু চরম বিশৃংখলার কারণে সেখানে কোনো সংবাদ সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। সূচিতে আবার ছিল বাফুফে ভবনে আসার পর হতে পারে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনের। কিন্তু পরে সেই সংবাদ সম্মেলন হয়েছে বাফুফে ভবনেই। যে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের সঙ্গি হয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা খাতুন ১৬ কোটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘সবাইকে সালাম। প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতি, যারা আমাদের আজ এভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন চার-পাঁচ বছর ধরে বাফুফে ভবনে আমরা ক্যাম্পে আছি। সভাপতি স্যার বলেছিলেন কষ্ট করে যাও সফল হবা। বাফুফে আমাদের যে সাপোর্ট দিয়েছে, আমরা তার ফল দিতে পেরেছি। আপনারা দোয়া করবেন আগামীতে আমরা দেশকে আরও ভালো ভালো ট্রফি উপহার দেব।'
বাংলাদেশের বিভিন্ন অজোপাড়া গাঁয়ের দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এক একটি মেয়েকে এক সুঁতোয় গেথেছেন কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। সেটা বয়স ভিত্তিক দল থেকেই। বয়সভিন্ন দলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাফল্য পাওয়ার পর এবার সেই সাফল্য এসেছে জাতীয় দলে। কোচ মনে করেন সেই শ্রমের ফসল আসতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন শুরু হয়েছিল ২০১২ সাল থেকে। এখানে বিশেষ টার্নিং পয়েন্ট ছিল, আগে বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে মেয়েরা আসতো ফুটবল খেলতে। তখন আমার সিদ্ধান্ত নিলাম, এভাবে ফুটবল হবে না। তাই আমরা প্ল্যান করে একটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিভা অন্বেষণ করলাম। ২০১৬ সালে ক্যাম্প শুরু হয়। তারপর থেকে প্রথম আমাদের পথচলা।
ফেডারেশেনের সভাপতি থেকে শুরু করে সবার সমর্থন, মেয়েদের পরিশ্রম সব কিছু মিলিয়ে আমরা সফল হয়েছি। আমাদের এখানে ৭৫ জনের মতো খেলোয়াড় আছে।’
এমপি/এএস