সাবিনাদের বিজয়োল্লাস নিয়ে যা বললেন আজহারি
গত সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নারী সাফের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। নারী সাফে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হন বাংলাদেশের তারকা সাবিনা খাতুন। দুটি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করেন তিনি।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে নারী দলকে বহনকারী বিমান অবতরণ করে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ মন্ত্রণালয় ও বাফুফের কর্মকর্তারা তাদের উষ্ণ সংবর্ধনা জানান।
বিজয়োল্লাস আর আনন্দ উদযাপনের মধ্যেই নারীদের ফুটবল খেলা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে এর পক্ষে বিপক্ষে মত দিয়েছেন অনেকে। যার মধ্যে আছে ধর্মভিত্তিক আলোচনাও। এরই ধারাবাহিকতায় নারীদের এই অর্জন নিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল।
'সাফ উইমেন চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের অর্জনকে কেন্দ্র করে দেশের আম জনতা যখন বিজয়োল্লাসে ব্যস্ত, ঠিক একই ঘটনাকে পুঁজি করে কিছু ধূর্ত লোক ইসলাম বিদ্বেষের নগ্ন উন্মাদনায় ব্যস্ত। দেশ ও দশের কাজে যাদের সিকিভাগ অবদান নেই।
আরে ভাই, সেলিব্রেট করার একটা উপলক্ষ এসেছে তো সেলিব্রেট করুন। এ বিজয়কে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছেন কেন? খেলোয়াড় মেয়েগুলো তো স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ মাঠেই সিজদায় লুটিয়ে পড়তে দেখলাম। তাদেরও তো কোন এন্টি ইসলাম এটিচিউড নেই। কিন্তু কিছু উজবুক রীতিমত ব্যাপারটাকে লেজেগোবরে করে ফেলেছে।
একটা পজিটিভ বিষয়কে ভিন্ন আঙ্গিকে ম্যানুপুলেট করে তাদের এই বস্তা পঁচা সস্তা ইসলাম বিদ্বেষের কূটকৌশল ইসলামপন্থীরা বহু আগে থেকেই অবগত। দেশের আম জনতাও অবগত যে— দেশের বিভিন্ন অর্জন ও সংস্কৃতিকে নানান চেতনা ও অপসংস্কৃতির রঙ মাখিয়ে দেশের ইসলামপন্থীদেরকে কীভাবে বারবার কোণঠাসা করে রাখার অপপ্রয়াস চালানো হয়।
ইনশাআল্লাহ, ইসলাম প্রিয় এই মুসলিম দেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের রঙ তুলির আচড় আর গোবর ভরা মাথার ফাঁকা বুলির ফাঁপর, কোনোটাই জন-মানুষের মনে ইসলাম ও আলেম বিদ্বেষের বিষবাষ্প ঢোকাতে পারবে না। বরং তাদের কূটকৌশল বুমেরাং হয়ে তাদের অসল চেহারাটাই প্রকাশ করে দেবে।'
/এএস