বাংলাদেশ দল
'ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়'
বাংলাাদেশ-নিউ জিল্যান্ড প্রথম টেস্টের তিন দিন গত হয়েছে। বাংলাদেশ ৭৩ রানের লিড পেয়েছে। হাতে এখনো ৪ উইকেটে। এই ৪ উইকেটে আরো অনেক বেশি রান যোগ হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো দলই জয়ের আশা করতো। কিন্তু বাংলাদেশ দল এ রকমটি ভাবতে পারছে না। কারণ অতীত ইতিহাস। প্রথম ইনিংসে ভালো করার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে অনেক। ২০০০ সালে অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪০০ রান করার পরও ম্যাচ চার দিন টিকতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে হেরেছিল ৯ উইকেটে। ২১ বছর আগের ইতিহাসতো অনেক আগের।
এইতো সে দিনের কথা। ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরেই ওয়েলিংটনে সাকিব আল হাসান ২১৭ ও মুশফিকুর রহিমের ১৫৯ রানে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেও হেরেছিল ৭ উইকেটে। কারণ ঐ যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধস। অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৬০ রানে। তাইতো বাংলাদেশ যেন ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায় ছিল সে রকমটিই। দিনটিকে তিনি সেরা বলেছেন। চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করেছেন। পরিকল্পনা সঠিছকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে জানিয়েছেন। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন অবস্থানে থেকেও জয়ের আশা করছে না। ড্র করতে পারলেই যেন সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, ‘এটা অন্যতম সেরা দিন। হ্যাঁ চ্যালেঞ্জিং, দারুণভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। ছেলেরা সত্যিই দারুণ করেছে। আমরা টিকে থাকতে চাই। ভালো করতে চাই। জিততে যদি নাও পারি আমরা এই টেস্ট ড্র করতে চাই। এখনও ১৮০ ওভার বাকি আছে। এই উইকেটে তাড়াতাড়ি রান করা কঠিন হবে যদি ভালো বল করি।’ অংকের এই হিসেবে তিনি আগামীকাল সকালটাকে খুবই গুরুত্বপূর্ন ভাবছেন। তিনি দেড়শ রানের মতো লিড আশা করছেন। খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘কালকের সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে ৪ উইকেট আছে। মিরাজ ও ইয়াসির আছে। ৭৩ রান লিড আছে। আরও ৭০ রানের মত লিড পেলে দেড়শ রানের মত লিড হবে। তখন আমরা ভালো অবস্থানে থাকব।’
সুজন প্রশংসা করেছেন ব্যাটরাদের। তিনি বলেন, ‘সবাই ভালো ব্যাটিং করেছে। লিটনের ব্যাটিং তো সাবলীল। ও যেমন ব্যাটিং করে সেরকমই করেছে। লিটনের ব্যাটিং দেখা সবসময়ই গুড টু ওয়াচ। টাইমিং এত ভালো। আজ ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি কোনো রকম চাপে আছে। এত সাবলীলভাবে, সহজভাবে বোলারদের মোকাবেলা করেছে, দুর্দান্ত। লিটন কত ভালো খেলোয়াড় আমরা জানি। বিশ্বকাপে রান না করার পরও আমরা জানতাম ওর সামর্থ্য। লিটনের সামর্থ্যরে তুলনায় সবসময় রান কম করেছে। কিন্তু সে সবসময় সুন্দর খেলে, আজকেও। শান্তও খুব ভালো করেছে। জয়তো মাত্র টিন এজ পার হয়ে আসলো। যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে। কয়েকদিন ধরে দলের পরিবেশ চমৎকার। সবাই সবার জন্য খেলছে। এই জিনিসটা দরকার ছিল।’
এমপি/এএস