পাকিস্তানকে ১৭১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিল শ্রীলঙ্কা
ফাইনাল ম্যাচ, অথচ চাপ থাকবে না সেটা কি হয়? এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। টস হারার মধ্য দিয়ে চাপ শুরু হয় লঙ্কানদের। আর সেই চাপ বেড়ে যায় ম্যাচ শুরুর পর।
প্রথম ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দেন কুশল মেন্ডিস। নাসিম শাহর বলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন সাজঘরে। নাসিম শাহর প্রথম ওভারের আঘাত সামলে খেলতে থাকেন পাথুম নিসানকা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে ধনাঞ্জয়াকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি নিসানকা। দলীয় ২৩ রানে হারিফ রউফের বলে মিড অফে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়ে ৮ রান করে ফিরেন তিনি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই ফেরান দানুশকা গুনাথিলাকে। তার ১৫১ কিলোমিটার গতির বল যেন দেখতেই পারলেন না নিসানকা। আঘাত হানে স্টাম্পে। ৪ বলে ১ রান করে হাঁটেন প্যাভিলিয়নের দিকে। পাওয়ার প্লেতে ৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লঙ্কানরা।
পাওয়ার প্লেতে পাক পেসারদের তোপ সামলাতে হিমশিম খায় শ্রীলঙ্কা। আর পাওয়ার প্লের পর লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন আপে আক্রমণ হানে স্পিনাররা। ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে রাখা ধনাঞ্জয়া ফিরেন ইফতিখার আহমেদের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে। ২১ বলে ৪ চারে ২৮ রান করেন তিনি।
দলীয় ৫৮ রানে নিজেদের পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। এবার লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানে শাদাব খান। ২ রান করে শাদাবের বলে বোল্ড হন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা শ্রীলঙ্কাকে টেনে তুলেন ভানুকা রাজাপাকসে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। পাক বোলারদের পাল্টা জবাব দিতে থাকেন তারা।
রাজাপাকসে ও হাসারাঙ্গা জুটিতে আসে ৫৮ রান। রউফের বলে হাসারাঙ্গা ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। তিনি ২১ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়ে ফিরেন সাঝঘরে। অন্যদিকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রাজাপাকসে। ৩৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
হাফ সেঞ্চুরির পর জ্বলে উঠেন রাজাপাকসে। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে চামিকা করুনারত্নে ১৪ বলে ১ ছয়ে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা। এশিয়ার রাজা হতে পাকিস্তানকে করতে হবে ১৭১ রান।
এসজি